ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস, ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার অভিযোগে শাস্তির দাবিতে গতকাল মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। তার নাম শ্রীশান্ত রায় (স্টুডেন্ট আইডি-২১০৬১৬৯)। তিনি বুয়েটের ‘ট্রিপল ই- ২১’ ব্যাচ ও আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে শ্রীশান্ত রায় থানা হেফাজতে রয়েছেন। বুয়েট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডডিট-এ অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীদের সম্পর্কে অশালীন, অবমাননাকর ও যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টিও স্বীকার করেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করার দাবিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন ডিএসডব্লিউ ভবনের (ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর) সামনে জড়ো হন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নানা প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে, আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই ওই রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছে।’

তারা বলেন, ‘যদি ওর কাছ থেকে আগেও কেউ এরকম কোনো আচরণের শিকার হয়ে থাকেন বা কোনো প্রমাণ থেকে থাকে, গোপনীয়তা বজায় রেখে হলেও সেটা যেন প্রকাশ্যে আনেন।’

পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।’

এসি/আপ্র/২২/১০/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস, ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার অভিযোগে শাস্তির দাবিতে গতকাল মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। তার নাম শ্রীশান্ত রায় (স্টুডেন্ট আইডি-২১০৬১৬৯)। তিনি বুয়েটের ‘ট্রিপল ই- ২১’ ব্যাচ ও আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে শ্রীশান্ত রায় থানা হেফাজতে রয়েছেন। বুয়েট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডডিট-এ অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীদের সম্পর্কে অশালীন, অবমাননাকর ও যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টিও স্বীকার করেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করার দাবিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন ডিএসডব্লিউ ভবনের (ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর) সামনে জড়ো হন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নানা প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে, আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই ওই রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছে।’

তারা বলেন, ‘যদি ওর কাছ থেকে আগেও কেউ এরকম কোনো আচরণের শিকার হয়ে থাকেন বা কোনো প্রমাণ থেকে থাকে, গোপনীয়তা বজায় রেখে হলেও সেটা যেন প্রকাশ্যে আনেন।’

পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।’

এসি/আপ্র/২২/১০/২০২৫