নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মানহানিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানী ও তার সহযোগী মাহমুদুলের বিরুদ্ধে বিচার শুরর আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৩০ মার্চ দিন ধার্য করে দেন। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
মাদানীকে এদিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জাও আদালতে হাজির ছিলেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম গত বছরের ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে মাদানী ও মাহমুদুলকে আসামি করে মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন নামে তিনজনের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।কারণ হিসেবে বলা হয়, তাদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি, ফরে গ্রেপ্তারও করা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মানহানিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৮ এপ্রিল এ মামলা করেন ধানম-ির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদানী ইউটিউবে ‘প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে মানি না’, ‘সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সবকিছুতেই পাপ ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে’- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। গাজীপুর মহানগরের বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মারকাজুন নূর আল ইসলামিয়া নামে একটি আবাসিক মাদ্রাসা রয়েছে। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদনী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক। গত বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোণার গ্রামের বাড়ি থেকে মাদানীকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে আরেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
মতিঝিল থানার মামলায় মাদানীর বিচার শুরু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ