ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মণিপুরে ২ দিনে বিদ্রোহীদের ৪ বাঙ্কার ধ্বংস, ৩টি দখল

  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ মণিপুরে গত দু’দিনে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর চারটি বাঙ্কার ধ্বংস এবং আরও ৩টি বাঙ্কার দখল করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মণিপুর রাজ্য পুলিশ। ধ্বংস ও দখল করা বাঙ্কারগুলো মণিপুরের পূর্ব ইম্ফল এবং কাংপোকপি জেলার দুই গ্রাম থামানাপোকপি ও সানাবাসি গ্রামের কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বলে উল্লেখ করে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দুই জেলার থামানাপোকপ ও সানাবাজি গ্রামের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গত দুই দিনে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপকমাত্রায় বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে সশস্ত্র দুস্কৃতিকারীদের। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

এ অভিযানে অভিযানে দুষ্কৃতিকারীদের চারটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে এবং ৩টি বাঙ্কার আমাদের দখলে এসেছে।” “পাশাপাশি চুড়াচাঁদপুর ও তেঙ্গনৌপাল জেলায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র।” গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের গুলিতে থামনাপোকপি ও সানাবাসি গ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারীসহ মোট চারজন নিহত হন।

তারপরই ওই গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মণিপুর রাজ্য পুলিশ এবং সেনাবাহিনী, বিএসএফ এবং সিপিআরফের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে গত দু’দিনের অভিযানে কতজন নিহত এবং আহত হয়েছেন— সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের মঙ্গলবারের বিবৃতিতে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের শুরু ২০২৩ সালের মে মাস থেকে।

সে বছর ৪ মে মণিপুরের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতি হিসেবে ঘোষণা করে মণিপুর হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে রাজ্যটির বৃহত্তম সংখ্যালঘু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগোষ্ঠী কুকি। কিন্তু খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কুকিদের এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। অশান্ত সেই পরিস্থিতির সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকাংশই কুকি এবং জো জাতিগোষ্ঠীর।

গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে নিহত হয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষ এবং বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। এখনও রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সূত্র : দ্য হিন্দু

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপির বর্ধিত সভায় নানামুখী নির্দেশনা দেবেন তারেক রহমান

মণিপুরে ২ দিনে বিদ্রোহীদের ৪ বাঙ্কার ধ্বংস, ৩টি দখল

আপডেট সময় : ০৭:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ মণিপুরে গত দু’দিনে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর চারটি বাঙ্কার ধ্বংস এবং আরও ৩টি বাঙ্কার দখল করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মণিপুর রাজ্য পুলিশ। ধ্বংস ও দখল করা বাঙ্কারগুলো মণিপুরের পূর্ব ইম্ফল এবং কাংপোকপি জেলার দুই গ্রাম থামানাপোকপি ও সানাবাসি গ্রামের কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বলে উল্লেখ করে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দুই জেলার থামানাপোকপ ও সানাবাজি গ্রামের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গত দুই দিনে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপকমাত্রায় বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে সশস্ত্র দুস্কৃতিকারীদের। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

এ অভিযানে অভিযানে দুষ্কৃতিকারীদের চারটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে এবং ৩টি বাঙ্কার আমাদের দখলে এসেছে।” “পাশাপাশি চুড়াচাঁদপুর ও তেঙ্গনৌপাল জেলায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র।” গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের গুলিতে থামনাপোকপি ও সানাবাসি গ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারীসহ মোট চারজন নিহত হন।

তারপরই ওই গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মণিপুর রাজ্য পুলিশ এবং সেনাবাহিনী, বিএসএফ এবং সিপিআরফের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে গত দু’দিনের অভিযানে কতজন নিহত এবং আহত হয়েছেন— সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের মঙ্গলবারের বিবৃতিতে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের শুরু ২০২৩ সালের মে মাস থেকে।

সে বছর ৪ মে মণিপুরের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতি হিসেবে ঘোষণা করে মণিপুর হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে রাজ্যটির বৃহত্তম সংখ্যালঘু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগোষ্ঠী কুকি। কিন্তু খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কুকিদের এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। অশান্ত সেই পরিস্থিতির সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকাংশই কুকি এবং জো জাতিগোষ্ঠীর।

গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে নিহত হয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষ এবং বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। এখনও রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সূত্র : দ্য হিন্দু