নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে যাচ্ছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি-জেপিসহ কয়েকটি দল।
জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলামপন্থি অংশের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলছেন, এই জোটে সবমিলিয়ে ১৬টি দল থাকতে পারে। ৭ ডিসেম্বর আমরা জোটের আত্মপ্রকাশ করবো। আমাদের এই বৃহত্তর জোটের নেতারাও সেদিন উপস্থিত থাকবেন।
গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে এক সভায় এ জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুহুল আমিন হাওলাদারকে। তিনি জানান, সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশান ১ নম্বরে ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এতে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। তিন খণ্ডে বিভক্ত জাতীয় পার্টির তিন অংশই দলের প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জিএম কাদের অংশ বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। আর এরশাদের সহধর্মিনী রওশন এরশাদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলাদা হওয়ার পর নীরব থাকলেও এখন তার অংশটি বলছে, তারাই লাঙলের ‘একমাত্র দাবিদার’।
এদিকে জি এম কাদেরের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সুযোগে গেল ৯ আগস্ট ‘ঐক্য সম্মেলন’ করে আলাদা হয়ে যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। রওশনের অংশ থেকে বেরিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এর আগে জাতীয় পার্টিতে পাঁচবার ভাঙন হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৯৭ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফার ভাঙন হয়। তখন থেকেই আলাদাভাবে রাজনীতি করে আসছে এ অংশটি।
সানা/আপ্র/০৬/১২/২০২৫




















