ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের ‘সম্ভাবনা’ দেখল নাসার পার্সিভ্যারেন্স রোভার

  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: মঙ্গলে প্রাচীন বা বহু কোটি বছর আগে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে– এমন সম্ভাব্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্সিভিয়ারেন্স রোভার। এটি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার ক্ষেত্রে পাওয়া সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

এই প্রমাণ গ্রহবিজ্ঞানের গবেষণায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি প্রাচীন গ্রহটিতে ভিনগ্রহী জীবনের প্রমাণ পাওয়ার আশা আরও প্রবল করে তুলেছে।
নাসার এই আবিষ্কারের মূলে রয়েছে একটি পাথরের নমুনা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাফায়ার ক্যানিয়ন’। এটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চেয়াভা ফলস নামে পরিচিত একটি সমুদ্র পাড় থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই এলাকা জেজেরো ক্রেটারের ঐতিহাসিক নদীপথের অংশ, যা কোটি কোটি বছর আগে পানিতে ভরপুর ছিল।

পার্সিভিয়ারেন্স চেয়াভা ফলস থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করেছে তাতে গবেষকরা ‘চিতাবাঘের দাগ’-এর মতো প্যাটার্ন ও খনিজ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। যেগুলোকে বায়োসিগনেচার বলা হয়। বায়োসিগনেচার বলতে এমন আণবিক বা গঠনগত চিহ্ন বোঝায়, যা জৈবিক উৎস থেকেও আসতে পারে, আবার অজৈব প্রক্রিয়ার ফলেও তৈরি হতে পারে।

পৃথিবীতে এ ধরনের খনিজ প্রায়ই পানিবেষ্টিত পরিবেশে পাওয়া যায়। যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, একসময় মঙ্গলে অণুজীব বেঁচে থাকতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা দরকার। বিশেষত পৃথিবীর ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কারণ ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াও মাঝে মাঝে জীবনের মতো চিহ্ন তৈরি করতে পারে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের ‘সম্ভাবনা’ দেখল নাসার পার্সিভ্যারেন্স রোভার

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মঙ্গলে প্রাচীন বা বহু কোটি বছর আগে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে– এমন সম্ভাব্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্সিভিয়ারেন্স রোভার। এটি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার ক্ষেত্রে পাওয়া সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

এই প্রমাণ গ্রহবিজ্ঞানের গবেষণায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি প্রাচীন গ্রহটিতে ভিনগ্রহী জীবনের প্রমাণ পাওয়ার আশা আরও প্রবল করে তুলেছে।
নাসার এই আবিষ্কারের মূলে রয়েছে একটি পাথরের নমুনা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাফায়ার ক্যানিয়ন’। এটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চেয়াভা ফলস নামে পরিচিত একটি সমুদ্র পাড় থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই এলাকা জেজেরো ক্রেটারের ঐতিহাসিক নদীপথের অংশ, যা কোটি কোটি বছর আগে পানিতে ভরপুর ছিল।

পার্সিভিয়ারেন্স চেয়াভা ফলস থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করেছে তাতে গবেষকরা ‘চিতাবাঘের দাগ’-এর মতো প্যাটার্ন ও খনিজ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। যেগুলোকে বায়োসিগনেচার বলা হয়। বায়োসিগনেচার বলতে এমন আণবিক বা গঠনগত চিহ্ন বোঝায়, যা জৈবিক উৎস থেকেও আসতে পারে, আবার অজৈব প্রক্রিয়ার ফলেও তৈরি হতে পারে।

পৃথিবীতে এ ধরনের খনিজ প্রায়ই পানিবেষ্টিত পরিবেশে পাওয়া যায়। যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, একসময় মঙ্গলে অণুজীব বেঁচে থাকতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা দরকার। বিশেষত পৃথিবীর ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কারণ ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াও মাঝে মাঝে জীবনের মতো চিহ্ন তৈরি করতে পারে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ