প্রযুক্তি ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি রকেট বিস্ফোরণ পরীক্ষা নিয়ে তদন্তের মুখে পড়ার বাস্তবতায় আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্টারশিপ রকেট মঙ্গল গ্রহে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
এক্স-এর এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছেড়ে যাবে স্টারশিপ। সঙ্গে থাকবে অপ্টিমাস।
স্টারশিপ রকেটের প্রাথমিক বিভিন্ন মিশন ঠিকঠাক চললে ২০২৯ সালের মধ্যেই মঙ্গলে মানুষের যাত্রা শুরু হতে পারে। তবে “২০৩১ সালে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
১২৩ মিটার উচ্চতার সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপ মঙ্গল গ্রহে মানবঘাঁটি স্থাপনে মাস্কের উচ্চাভিলাসী কাঙ্ক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
তবে পরীক্ষায় একাধিকবার ব্যর্থতার মুখে পড়েছে রকেটটি। গত সপ্তাহে পরীক্ষার অংশ হিসাবে টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরে রকেটটি বিস্ফোরিত হয়। জানুয়ারিতেও একই কারণে দ্বিতীয়বার ব্যর্থতার মুখ দেখেছে রকেটটি।
স্পেসএক্স বলেছে, সাম্প্রতিক এসব রকেট বিস্ফোরণের মূল কারণ ‘আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য’ তথ্য পর্যালোচনা করবে তারা। তবে তারা আরো বলেছে, রকেটটির ‘বেশ কয়েকটি’ ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার পর এমনটি ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এফএএ বলেছে, রকেটটির আবারও উৎক্ষেপণের আগে কোম্পানিটিকে এ নিয়ে তদন্ত করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই মঙ্গল গ্রহ ভ্রমণের লক্ষ্য নিয়েছেন মাস্ক। ২০১৬ সালে তিনি বলেছিলেন, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে মঙ্গলে নিজের ড্রাগন মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
মার্কিন এই বিলিয়নেয়ার ২০২০ সালে বলেছিলেন, তার কোম্পানি কেবল ছয় বছর পরই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
২০২৪ সালেও মাস্ক বলেছেন, ২০২৬ সালে মঙ্গল গ্রহে প্রথম স্টারশিপ রকেট পাঠাবেন তিনি। এমনকি তার চার বছরের মধ্যে মঙ্গলে ক্রু ফ্লাইট অর্থাৎ মানুষ্যবাহী রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মাস্ক আরো বলেছেন, আসন্ন মঙ্গল অভিযানে টেসলার তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট ‘অপ্টিমাস’ থাকবে, যা গত বছর সবাইকে দেখিয়েও ছিলেন তিনি।
ওই সময় মাস্ক আরো বলেন, একদিন দৈনন্দিন কাজ করতে পারবে এই রোবট এবং এর দাম হবে ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলারের মধ্যে।
এদিকে, বোয়িংয়ের দুই নভোচারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শুক্রবার ক্রু বহনকারী নিজেদের ফ্যালকন ৯ রকেট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বা আইএসএসে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স।
বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামসের মাত্র আট দিনের জন্য আইএসএসে গেলেও বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে রয়েছেন তারা।