নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মগবাজারে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ১৭ বছরের সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। দম্পতি ও তাদের সন্তানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।
যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন-লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার মনির, তার স্ত্রী স্বপ্না ও তাদের সন্তান আরাফাত।
রোববার (২৯ জুন) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে ওই দম্পতি তাদের সন্তানকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে ঢাকার মগবাজারের হোটেল সুইট স্লিপে ওঠেন। আজ সকালে দম্পতির এক আত্মীয় তাদের হোটেলে উপস্থিত হন। তখন তিনি দেখতে পান স্বপ্না বমি করছেন। একপর্যায়ে স্বপ্না ও তার সন্তানকে আদ দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরই মধ্যে মনির অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, তাদের মৃত্যুটা কীভাবে হয়েছে, বিষক্রিয়া না অন্য কোনো কারণে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ছেলের চিকিৎসার জন্য তারা মগবাজারের ওই আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। ডিসি মাসুদ আলম জানান, মরদেহ তিনটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, আমরা গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছি। ইতোমধ্যে তাদের রুমের এবং পুরো হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া হোটেলের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করছি তাদের রুমে কেউ এসেছিল কি না– সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি। এই তিনজনের মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ কী হতে পারে? পুলিশ কি ধারণা করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা দুটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি। আমাদের প্রাথমিক ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে নয়তবা তাদেরকে কেউ বিষাক্ত কোনো খাবার খাইয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে, তার কারণেও তাদের মৃত্যু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আমরা কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের তদন্তে এবং মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।