ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমাজন

  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা তৃতীয়বার স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমাজন। সমালোচকরা বলছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের কারণে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য। মানবসৃষ্ট অগ্নিকা-ে ল্যাবরিয়া অঞ্চলের বিশাল এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আশপাশের ন্যাশনাল পার্কেও ছড়িয়ে পড়ছে সে আগুন, নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে দাবানল। এতে উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরা। পুড়েই চলেছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন। এ নিয়ে পরপর তিন বছর রেকর্ড আগুনের ঘটনা ঘটল।
কেটে ফেলা গাছের গুঁড়িগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুকনো কাঠির মতো। আমাজনের এমন ভয়াবহ অবস্থা গেল এক দশকেও দেখেনি কেউ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ আমাজনে বন উজাড়ের হার বেড়ে গেছে।
ল্যাবরিয়া শহরের সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও আশপাশের ন্যাশনাল পার্কেও গাছ কেটে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর সৃষ্ট দাবানলের পরিমাণও বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে একরের পর একর বনাঞ্চল উজাড় করে প্রকৃতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ায় চরম সমালোচনার মুখে পড়ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো।
তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃতীয়বারের মতো রেকর্ডসংখ্যক একর বনাঞ্চল ধ্বংস হলো। আমাজন এলাকায় সৃষ্ট দাবানলের কারণ হিসেবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থানান্তর, কৃষি সম্প্রসারণ আর একের পর এক উন্নয়ন কার্যক্রমকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। এতে অচিরেই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে প্রাণের অস্তিত্ব, এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
স্যাটেলাইটে আমাজনে এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি অগ্নিকা- রেকর্ড করা হয়েছে। লাখ লাখ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সবাইকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মাশুল দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি বিশেষজ্ঞদের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমাজন

আপডেট সময় : ১১:১৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা তৃতীয়বার স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমাজন। সমালোচকরা বলছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের কারণে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য। মানবসৃষ্ট অগ্নিকা-ে ল্যাবরিয়া অঞ্চলের বিশাল এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আশপাশের ন্যাশনাল পার্কেও ছড়িয়ে পড়ছে সে আগুন, নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে দাবানল। এতে উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরা। পুড়েই চলেছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন। এ নিয়ে পরপর তিন বছর রেকর্ড আগুনের ঘটনা ঘটল।
কেটে ফেলা গাছের গুঁড়িগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুকনো কাঠির মতো। আমাজনের এমন ভয়াবহ অবস্থা গেল এক দশকেও দেখেনি কেউ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ আমাজনে বন উজাড়ের হার বেড়ে গেছে।
ল্যাবরিয়া শহরের সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও আশপাশের ন্যাশনাল পার্কেও গাছ কেটে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর সৃষ্ট দাবানলের পরিমাণও বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে একরের পর একর বনাঞ্চল উজাড় করে প্রকৃতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ায় চরম সমালোচনার মুখে পড়ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো।
তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃতীয়বারের মতো রেকর্ডসংখ্যক একর বনাঞ্চল ধ্বংস হলো। আমাজন এলাকায় সৃষ্ট দাবানলের কারণ হিসেবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থানান্তর, কৃষি সম্প্রসারণ আর একের পর এক উন্নয়ন কার্যক্রমকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। এতে অচিরেই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে প্রাণের অস্তিত্ব, এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
স্যাটেলাইটে আমাজনে এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি অগ্নিকা- রেকর্ড করা হয়েছে। লাখ লাখ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সবাইকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মাশুল দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি বিশেষজ্ঞদের।