অর্থনৈতিক ডেস্ক: দেশের ব্যবসায়ীরা অবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেননা তাদের সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকার কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ৬৫টি পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে। এতে খাদ্যপণ্য, মিষ্টি, ওষুধ, সাবান, ও পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে।
তা ভোক্তা ব্যবসায়ী উভয়ের জন্যই চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষত রেস্তোরাঁ, পোশাক, মিষ্টি, এবং অন্যান্য সেবাখাতের ব্যবসায়ীদের মতে, একধাক্কায় ভ্যাট বাড়ানোর ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর ফলে তাদের আয় কমবে।
বিশেষ করে তৈরি পোশাক, মিষ্টি, বিস্কুট, জুসসহ আরও কিছু পণ্যের ওপর বাড়তি ভ্যাটের সিদ্ধান্ত সরাসরি ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলবে।
এদিকে ব্যবসায়ী নেতারা দাবি করেছেন, সরকারের উচিত ছিল এই পদক্ষেপের আগে সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে আলোচনা করা। এমন কঠোর সিদ্ধান্তের ফলে শিল্পে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে এবং কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে, কারণ বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার উপরে হলেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমানের মতে, অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বাড়ানো একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। তা সাধারণ জনগণ শিল্প উভয়ের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
