ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসএমএস না এলে করণীয়

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী চলছে করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। কিন্তু প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে যেমন নিবন্ধনকারীর মোবাইলফোনে এসএমএস এসেছিল, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ঘটেছে তার ব্যত্যয়। অনেকেরই মোবাইলফোনে কোনো এসএমএস আসেনি। এসএমএস না এলেও অনেকে টিকার নিবন্ধন কার্ডে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন।
আর বিপত্তিটাও এখানে ঘটছে। কেন্দ্র থেকে অনেককেই বলা হচ্ছে, এসএমএস এলেই টিকা দেওয়া হবে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নির্ধারিত তারিখে কেন্দ্রে যাওয়ার পরও টিকা মিলছে না। অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসএমএস না এলেও সমস্যা নেই, সময়মতো গেলেই টিকা মিলবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ হোসেন বলেন, ‘এসএমএস সময়মতো পাওয়ার কথা। কোনো কারণে কেউ এসএমএস না পেলেও নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট সেন্টারে গেলে টিকা দিতে পারবেন। যে তারিখ নিবন্ধন কাগজে লেখা থাকে, সে তারিখে না যেতে পারলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এই ব্যাপারে কোনো সংশয়ের কারণ নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজও পাবেন। কোনো দ্বিধা নেই। এর সঙ্গে এসএমএস পাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। এটি একটি প্রক্রিয়া। এসএমএস না পেলেও প্রথম ডোজের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। ৮ সপ্তাহ যাদের হয়েছে, তাদের শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১২ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো সময় নিলেই হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ মে করোনার টিকা ঘাটতির কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে টিকার প্রথম ডোজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টিকার নিবন্ধনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেই থেকে ৪ মে পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জনকে। এরপর গত ৮ এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৬২১ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসএমএস না এলে করণীয়

আপডেট সময় : ০১:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী চলছে করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। কিন্তু প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে যেমন নিবন্ধনকারীর মোবাইলফোনে এসএমএস এসেছিল, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ঘটেছে তার ব্যত্যয়। অনেকেরই মোবাইলফোনে কোনো এসএমএস আসেনি। এসএমএস না এলেও অনেকে টিকার নিবন্ধন কার্ডে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন।
আর বিপত্তিটাও এখানে ঘটছে। কেন্দ্র থেকে অনেককেই বলা হচ্ছে, এসএমএস এলেই টিকা দেওয়া হবে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নির্ধারিত তারিখে কেন্দ্রে যাওয়ার পরও টিকা মিলছে না। অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসএমএস না এলেও সমস্যা নেই, সময়মতো গেলেই টিকা মিলবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ হোসেন বলেন, ‘এসএমএস সময়মতো পাওয়ার কথা। কোনো কারণে কেউ এসএমএস না পেলেও নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট সেন্টারে গেলে টিকা দিতে পারবেন। যে তারিখ নিবন্ধন কাগজে লেখা থাকে, সে তারিখে না যেতে পারলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এই ব্যাপারে কোনো সংশয়ের কারণ নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজও পাবেন। কোনো দ্বিধা নেই। এর সঙ্গে এসএমএস পাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। এটি একটি প্রক্রিয়া। এসএমএস না পেলেও প্রথম ডোজের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। ৮ সপ্তাহ যাদের হয়েছে, তাদের শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১২ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো সময় নিলেই হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ মে করোনার টিকা ঘাটতির কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে টিকার প্রথম ডোজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টিকার নিবন্ধনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেই থেকে ৪ মে পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জনকে। এরপর গত ৮ এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৬২১ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।