ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

ভোট সুষ্ঠু না হলে মাজায় রশি লাগতে পারে, সিইসিকে ইসলামী আন্দোলন

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে বুধবার সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিণতি আগের মতই হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
নির্বাচনের আগে সবার জন্য সমান সুযোগ এখনও অনুপস্থিত থাকার দাবি দলটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকালে নির্বাচন ভবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলেছি যেটা এখন অনুপস্থিত এবং সিইসিকে আমরা বলেছি যে আপনি যদি মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবেন তাহলে আপনি নির্বাচন দেন। আর যদি আপনি মনে করেন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবেন না, তাইলে আপনি ঝুঁকি নেবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারার পরিণতি কেমন হতে পারে সেই আশঙ্কাও সিইসির কাছে তুলে ধরেছেন বলে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, কারণ যদি আপনি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না দিতে পারেন, তাহলে বিগত নির্বাচন কমিশনের পরিণতি আপনাকে ভোগ করতে হবে। আপনার গলায় গামছা এবং মাজায় রশি লাগতে পারে। এই অবস্থাটা আপনি মনে রাখবেন। এটা মনে রেখেই আপনি নির্বাচনের দিকে যাবেন।
প্রতিনিধি দলে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন প্রেসিডিয়ামের সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।

আগে স্থানীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, দলের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে কিছু বার্তা ওনার কাছে পৌঁছিয়েছি। আমাদের মূল যেই দাবিটা ছিল সেটা হল যে ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের জন্য যে আলোচনা হচ্ছে, যাতে আগামী নির্বাচনটা এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে হতে হবে, যাতে জনগণের শতভাগ ভোট মূল্যায়িত হয় এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়। এটা ছিল আমাদের মৌলিক দাবি। আর আমরা বলেছি স্থানীয় নির্বাচন তো আগে হওয়া প্রয়োজন । লেভেল প্লেইং ফিল্ড কতটুকু আছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু সভ্য হয়েছি এটা যাতে প্রমাণ হয়।
গাজী আতাউর বলেন, ঐকমত্য কমিশন স্থানীয় নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো আইন উপস্থাপন করতে না পারাও একটি ব্যর্থতার বিষয়।

সনদের আগে তফসিল নয়, যেনতেন নির্বাচন নয়: ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, আমরা (সিইসিকে) স্পষ্ট বলেছি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হওয়ার আগে, (সনদ) ঘোষণা হওয়ার আগে আপনি তফসিল ঘোষণা করবেন না। সেটা আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের কথা বলেছে। সিইসির সঙ্গে আলোচনায় ভোটের সময় একই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা চেয়েছেন দলটির নেতারা। প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ দলের পক্ষ থেকে অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাতটি দাবি সিইসির কাছে তুলে ধরার কথা বলেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার সব দোসর, সহযোগী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে নিবন্ধন বাতিলের দাবি রয়েছে। তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন, বলেন আশরাফ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোট সুষ্ঠু না হলে মাজায় রশি লাগতে পারে, সিইসিকে ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিণতি আগের মতই হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
নির্বাচনের আগে সবার জন্য সমান সুযোগ এখনও অনুপস্থিত থাকার দাবি দলটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকালে নির্বাচন ভবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলেছি যেটা এখন অনুপস্থিত এবং সিইসিকে আমরা বলেছি যে আপনি যদি মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবেন তাহলে আপনি নির্বাচন দেন। আর যদি আপনি মনে করেন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবেন না, তাইলে আপনি ঝুঁকি নেবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারার পরিণতি কেমন হতে পারে সেই আশঙ্কাও সিইসির কাছে তুলে ধরেছেন বলে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, কারণ যদি আপনি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না দিতে পারেন, তাহলে বিগত নির্বাচন কমিশনের পরিণতি আপনাকে ভোগ করতে হবে। আপনার গলায় গামছা এবং মাজায় রশি লাগতে পারে। এই অবস্থাটা আপনি মনে রাখবেন। এটা মনে রেখেই আপনি নির্বাচনের দিকে যাবেন।
প্রতিনিধি দলে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন প্রেসিডিয়ামের সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।

আগে স্থানীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, দলের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে কিছু বার্তা ওনার কাছে পৌঁছিয়েছি। আমাদের মূল যেই দাবিটা ছিল সেটা হল যে ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের জন্য যে আলোচনা হচ্ছে, যাতে আগামী নির্বাচনটা এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে হতে হবে, যাতে জনগণের শতভাগ ভোট মূল্যায়িত হয় এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়। এটা ছিল আমাদের মৌলিক দাবি। আর আমরা বলেছি স্থানীয় নির্বাচন তো আগে হওয়া প্রয়োজন । লেভেল প্লেইং ফিল্ড কতটুকু আছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু সভ্য হয়েছি এটা যাতে প্রমাণ হয়।
গাজী আতাউর বলেন, ঐকমত্য কমিশন স্থানীয় নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো আইন উপস্থাপন করতে না পারাও একটি ব্যর্থতার বিষয়।

সনদের আগে তফসিল নয়, যেনতেন নির্বাচন নয়: ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, আমরা (সিইসিকে) স্পষ্ট বলেছি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হওয়ার আগে, (সনদ) ঘোষণা হওয়ার আগে আপনি তফসিল ঘোষণা করবেন না। সেটা আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের কথা বলেছে। সিইসির সঙ্গে আলোচনায় ভোটের সময় একই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা চেয়েছেন দলটির নেতারা। প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ দলের পক্ষ থেকে অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাতটি দাবি সিইসির কাছে তুলে ধরার কথা বলেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার সব দোসর, সহযোগী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে নিবন্ধন বাতিলের দাবি রয়েছে। তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন, বলেন আশরাফ।