ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ভোট বর্জনের ডাক সফল, দাবি বিএনপির

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের ডাক সফল হয়েছে বলে দাবি করে এতে সাড়া দেওয়ায় ভোটারদের ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের টেলিভিশন (গণমাধ্যম) ক্যামেরার ছবি কথা বলে। আমি বলছি যে হাজার হাজার লাখ লাখ ছবি এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা দেখতে পারছেন। কুকুরের ছবি দেখতে পারছেন ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েৃ শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। সেই ভোটকেন্দ্রের নাম হচ্ছে ঢাকা শহরের মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। এই যে পরিস্থিতিৃ সিংহভাগ ভোটকেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য অবস্থায়।’
গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) গুলশানে নিজের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। আজকে আমি জনগণকে আমাদের পক্ষ থেকে, শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, এই যে ৬২টি রাজনৈতিক দল আমরা যারা এই প্রহসনের নির্বাচনকে বর্জন করেছি, তাদের সবার পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাবো একটি মাত্র কারণে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রশ্নের কোনও দিন আপস করেনি, এবারও করবে না।’
ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে আবদুল মঈন খান বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। এখানে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই—এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগিবৈঠার আন্দোলন করে, সেই লগিবৈঠার আন্দোলন আমরা করি না। আমাদের অনেকে অভিযোগ করেছে যে আপনারা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবেন না। আবদুল মঈন খান বলেন, ‘হরতাল না হলেও তো ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এমন হতো না। আগামীকাল দেখবেন, কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ে, তাহলে বুঝবেজি কুকিংআপৃ কত শতাংশ ভোট পড়েছে, এটা সরকার করতে পারে, সরকার করুক, সরকার ৫ শতাংশ বলতে চাইলে ৫ বলবে, ৫০ শতাংশ বলতে চাইলে ৫০ বলবে, ৯৯ শতাংশ চাইলে ৯৯ বলবে। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো একটি কেন্দ্রে ১০৫ শতাংশও বলতে পারে। সেটা আমাদের কনসার্ন না।’
তিনি বলেন, ‘কি ভোট হচ্ছে সেটা সারা বিশ্ব দেখছে, বাংলাদেশের মানুষ দেখছে।’ পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘হোয়াট ইজ নেক্সট। বাংলাদেশের মানুষ শুধু হোয়াট ইজ নেক্সট জানতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিস চায়, তারা কথা বলতে চায়, তারা ভোট দিতে চায়, তারা এ দেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়ৃ এই তিনটি উদ্দেশ্যে আমরা মানুষের পক্ষ হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই তিনটি জিনিস এ দেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনে দেবো।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লীগের সমর্থক আছে সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। আমি সেটা বলছি না। আওয়ামী লীগেরও এই দেশে সমর্থক আছে, বিএনপিরও সমর্থক আছে। বিএনপির সমর্থকদের আজকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তারা ভোটে নাই। আমরা প্রতিবাদ হিসেবে ভোট বর্জন করেছি।’
‘২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি’: কারচুপি নয়, প্রকাশ্যে ডাকাতির ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এক অভূতপূর্ব রায় দিয়েছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের বিবেকবান লোকজনও আজ ভোট দিতে যায়নি বলে খবর পেয়েছি। ২ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানরও।’
ভোট বর্জন সার্থক: রিজভী: নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার ফেলানী হত্যা দিবসে পাতানো নির্বাচন করে ফেলানীর মতোই গণতন্ত্রকে তারকাঁটায় ঝুলিয়েছে। তাদের প্রভুদের খুশি করতে ফেলানী হত্যা দিবসে নির্বাচন করেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য এই সাজানো নির্বাচন করছে সরকার। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না। তাহলে ১৮ শতাংশ ভোটার কোথায় থেকে এলো? এতদিন দেখেছি, ভোটকেন্দ্রে মানুষ আসতো। আজ দেখলাম, যশোরে একটি ভোটকেন্দ্রে বানর ভোট দিতে এসেছে। বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করছেন এবং মিডিয়াতে বক্তব্য দিচ্ছেন, নৌকার প্রার্থীরা তাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছেন। কে কে জয়ী হবে তা সরকার আগেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সরকার নিজেদের মধ্যে ভোট করছে। তবুও, পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য রাতের বেলায় ব্যালটবক্স ভর্তি করে রেখেছে। আবার কোথাও সাত বছরের শিশুও ভোট দিচ্ছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তারা সবসময় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে। শিল্পমন্ত্রীর ছেলে জালভোট নিয়ে ধরা পড়েছে। জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেছেন, এই সরকার নিরপেক্ষ ভোট করতে জানে না। তারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে বলেই অনলাইন পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভোট বর্জনের ডাক সফল, দাবি বিএনপির

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের ডাক সফল হয়েছে বলে দাবি করে এতে সাড়া দেওয়ায় ভোটারদের ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের টেলিভিশন (গণমাধ্যম) ক্যামেরার ছবি কথা বলে। আমি বলছি যে হাজার হাজার লাখ লাখ ছবি এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা দেখতে পারছেন। কুকুরের ছবি দেখতে পারছেন ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েৃ শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। সেই ভোটকেন্দ্রের নাম হচ্ছে ঢাকা শহরের মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। এই যে পরিস্থিতিৃ সিংহভাগ ভোটকেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য অবস্থায়।’
গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) গুলশানে নিজের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। আজকে আমি জনগণকে আমাদের পক্ষ থেকে, শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, এই যে ৬২টি রাজনৈতিক দল আমরা যারা এই প্রহসনের নির্বাচনকে বর্জন করেছি, তাদের সবার পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাবো একটি মাত্র কারণে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রশ্নের কোনও দিন আপস করেনি, এবারও করবে না।’
ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে আবদুল মঈন খান বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। এখানে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই—এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগিবৈঠার আন্দোলন করে, সেই লগিবৈঠার আন্দোলন আমরা করি না। আমাদের অনেকে অভিযোগ করেছে যে আপনারা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবেন না। আবদুল মঈন খান বলেন, ‘হরতাল না হলেও তো ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এমন হতো না। আগামীকাল দেখবেন, কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ে, তাহলে বুঝবেজি কুকিংআপৃ কত শতাংশ ভোট পড়েছে, এটা সরকার করতে পারে, সরকার করুক, সরকার ৫ শতাংশ বলতে চাইলে ৫ বলবে, ৫০ শতাংশ বলতে চাইলে ৫০ বলবে, ৯৯ শতাংশ চাইলে ৯৯ বলবে। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো একটি কেন্দ্রে ১০৫ শতাংশও বলতে পারে। সেটা আমাদের কনসার্ন না।’
তিনি বলেন, ‘কি ভোট হচ্ছে সেটা সারা বিশ্ব দেখছে, বাংলাদেশের মানুষ দেখছে।’ পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘হোয়াট ইজ নেক্সট। বাংলাদেশের মানুষ শুধু হোয়াট ইজ নেক্সট জানতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিস চায়, তারা কথা বলতে চায়, তারা ভোট দিতে চায়, তারা এ দেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়ৃ এই তিনটি উদ্দেশ্যে আমরা মানুষের পক্ষ হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই তিনটি জিনিস এ দেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনে দেবো।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লীগের সমর্থক আছে সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। আমি সেটা বলছি না। আওয়ামী লীগেরও এই দেশে সমর্থক আছে, বিএনপিরও সমর্থক আছে। বিএনপির সমর্থকদের আজকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তারা ভোটে নাই। আমরা প্রতিবাদ হিসেবে ভোট বর্জন করেছি।’
‘২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি’: কারচুপি নয়, প্রকাশ্যে ডাকাতির ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এক অভূতপূর্ব রায় দিয়েছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের বিবেকবান লোকজনও আজ ভোট দিতে যায়নি বলে খবর পেয়েছি। ২ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানরও।’
ভোট বর্জন সার্থক: রিজভী: নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার ফেলানী হত্যা দিবসে পাতানো নির্বাচন করে ফেলানীর মতোই গণতন্ত্রকে তারকাঁটায় ঝুলিয়েছে। তাদের প্রভুদের খুশি করতে ফেলানী হত্যা দিবসে নির্বাচন করেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য এই সাজানো নির্বাচন করছে সরকার। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না। তাহলে ১৮ শতাংশ ভোটার কোথায় থেকে এলো? এতদিন দেখেছি, ভোটকেন্দ্রে মানুষ আসতো। আজ দেখলাম, যশোরে একটি ভোটকেন্দ্রে বানর ভোট দিতে এসেছে। বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করছেন এবং মিডিয়াতে বক্তব্য দিচ্ছেন, নৌকার প্রার্থীরা তাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছেন। কে কে জয়ী হবে তা সরকার আগেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সরকার নিজেদের মধ্যে ভোট করছে। তবুও, পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য রাতের বেলায় ব্যালটবক্স ভর্তি করে রেখেছে। আবার কোথাও সাত বছরের শিশুও ভোট দিচ্ছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তারা সবসময় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে। শিল্পমন্ত্রীর ছেলে জালভোট নিয়ে ধরা পড়েছে। জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেছেন, এই সরকার নিরপেক্ষ ভোট করতে জানে না। তারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে বলেই অনলাইন পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।