নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টরা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টরা কারচুপিতে সহায়তা করলে বা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এজেন্টদেরকে কেন্দ্রের বাইরে রাখা কোনো দলই মানবে না। মশারির ভেতরে মশা ঢুকলে মশারি না পুড়িয়ে মশা তাড়াতে হবে। তেমনি কোনো এজেন্ট অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, অনেকেই বলেন ইভিএম একটা কারচুপির মেশিন। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা এবং অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট নই, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। আমরা দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য। ইন্টারনেটের সঙ্গে ইভিএমের সংযোগ নেই জানিয়ে আলমগীর বলেন, ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যে সংযোগ দেওয়া হয় তা কাস্টমাইজ করা। বাজারের কেনা ক্যাবল কিংবা ড্রাইভ, কোনো কিছুই এটার মধ্যে প্রবেশ করাতে পারবেন না। শুধুমাত্র ইভিএমের জন্য তৈরি করা ডিভাইস ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস যোগ করতে পারবেন না। সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ইভিএম যোগ-বিয়োগ করে ক্যালকুলেটরের মতো। ক্যালকুলেটরে যেমন প্রোগ্রাম পরিবর্তন করার সুযোগ নেই, আমাদের ইভিএমেও সেই সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে যে অপপ্রচার আছে, যারা বলেন তারা না জেনে না বুঝে বলেন। তারা চাইলে যেকোনো ইভিএমে চেক করে দেখতে পারেন।
ইভিএমে ভোটের আগে কিংবা পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে আলমগীর বলেন, ভোটার ছাড়া কেউ ইভিএমে এসে ভোট দিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একটা দুর্বলতা আছে, গোপন বুথে যদি ভোটারকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এই সুযোগটা আছে। যদি ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে আসে তবে ১০ শতাংশ ভোটই কাস্ট করতে পারবে।
ভোট কারচুপিতে সহায়তা করলে এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ