ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ভোট উৎসবে ‘ভোট বর্জন’ প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: হাছান মাহমুদ

  • আপডেট সময় : ০২:০১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেওয়ায় মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রচারণা ও ভোট বর্জনের ডাক দিয়েই থেমে থাকেনি। ভোটের দুদিন আগে গত ৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বর্বরোচিত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা করেছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাছান মাহমুদ। আজ তিনি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত। নির্বাচনে না এসে তারা এখন হতাশাগ্রস্ত। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, নির্বাচন বর্জন করে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের নির্বাচন বর্জনে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রাও অব্যাহত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোসহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের পর দিন সোমবার বিকেলে তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটিকে ‘ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’ বলে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ। এ বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুন সন্ত্রাস করে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নেই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। অথচ গ্রেফতার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। আওয়ামী লীগের এই অন্যতম মুখপাত্র আরও বলেন, মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলবো, গাজায় নিরীহ মানুষদের হত্যা নিয়ে কিছু বলার জন্য। এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচন প্রতিহত করতে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেসব নিয়ে বক্তব্য থাকতো এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা ‘কনডেম’ করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদৃষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তা নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। ‘নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন ও রাশিয়ার তাৎক্ষণিক প্রশংসাতেই হয়তোবা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি একটু অন্যরকম’- বলেন ড. হাছান।
‘নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক’- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিলেন। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। আপনারা জানেন, ভারত, চীন, রাশিয়ার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন- এ কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি চীন, রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা এরই মধ্যেই না দিতো বা এমন অভিমত ব্যক্ত না করতো তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিটা অন্যরকম হতো বলে আমার ধারণা। হাছান মাহমুদ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গনেও আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে। দেশের জনগণ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ভোটের হার ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি, গড়ে ৪১ দশমিক ৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এরচেয়েও বেশি সম্ভবত ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। শহরাঞ্চলে ভোটের হার কিছুটা কম ছিল। কারণ, শহরের মানুষ জায়গা পরিবর্তন করে, আবার তিনদিন টানা ছুটি পাওয়ায় অনেকে চলে যান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে, সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। অতীতের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও এবারের নির্বাচন মিলিয়ে দেখা যায়, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভোট উৎসবে ‘ভোট বর্জন’ প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: হাছান মাহমুদ

আপডেট সময় : ০২:০১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেওয়ায় মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রচারণা ও ভোট বর্জনের ডাক দিয়েই থেমে থাকেনি। ভোটের দুদিন আগে গত ৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বর্বরোচিত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা করেছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাছান মাহমুদ। আজ তিনি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত। নির্বাচনে না এসে তারা এখন হতাশাগ্রস্ত। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, নির্বাচন বর্জন করে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের নির্বাচন বর্জনে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রাও অব্যাহত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোসহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের পর দিন সোমবার বিকেলে তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটিকে ‘ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’ বলে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ। এ বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুন সন্ত্রাস করে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নেই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। অথচ গ্রেফতার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। আওয়ামী লীগের এই অন্যতম মুখপাত্র আরও বলেন, মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলবো, গাজায় নিরীহ মানুষদের হত্যা নিয়ে কিছু বলার জন্য। এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচন প্রতিহত করতে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেসব নিয়ে বক্তব্য থাকতো এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা ‘কনডেম’ করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদৃষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তা নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। ‘নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন ও রাশিয়ার তাৎক্ষণিক প্রশংসাতেই হয়তোবা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি একটু অন্যরকম’- বলেন ড. হাছান।
‘নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক’- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিলেন। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। আপনারা জানেন, ভারত, চীন, রাশিয়ার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন- এ কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি চীন, রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা এরই মধ্যেই না দিতো বা এমন অভিমত ব্যক্ত না করতো তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিটা অন্যরকম হতো বলে আমার ধারণা। হাছান মাহমুদ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গনেও আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে। দেশের জনগণ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ভোটের হার ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি, গড়ে ৪১ দশমিক ৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এরচেয়েও বেশি সম্ভবত ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। শহরাঞ্চলে ভোটের হার কিছুটা কম ছিল। কারণ, শহরের মানুষ জায়গা পরিবর্তন করে, আবার তিনদিন টানা ছুটি পাওয়ায় অনেকে চলে যান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে, সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। অতীতের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও এবারের নির্বাচন মিলিয়ে দেখা যায়, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে।