ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ভোটে বিজয়ী হলেন যারা

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুর সংবাদদাতা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন অপু, এনামুল হক শামীম ও নাহিম রাজ্জাক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ তার কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। বিজয়ী নাহিম রাজ্জাক টানা চতুর্থবার, ইকবাল হোসেন অপু ও একেএম এনামুল হক শামীম দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৮ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৯ ভোটারের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪৭৮টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন। শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৭ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ ভোটাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ৯০১টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন।
শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট) আসনে নৌকা প্রতীকের নাহিম রাজ্জাক ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৯ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ ভোটারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১১০টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৫টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ জন। নির্বাচনে জেলার তিনটি আসন থেকে ১২টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। শরীয়তপুর থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো-আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা, মুক্তিজোট, তরিকত ফেডারেশন ও ইসলামী ঐক্যজোট।
৫ আসনে নৌকা, ৩টিতে স্বতন্ত্র
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলে ৫টিতে নৌকা আর ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এক লাখ ৭৪ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক (ট্রাক) পেয়েছেন চার হাজার ১৭৮ ভোট। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির এক লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু (ঈগল) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান রানা (ঈগল) ৮২ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান খান পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (ট্রাক) ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন (ঈগল) ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু এক লাখ ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস (ঈগল) পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৯২ ভোট। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (গামছা) পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
টানা চতুর্থবারের মতো ছেলুন-টগর
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গায় টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও আলী আজগর টগর। ছেলুন চুয়াডাঙ্গা-১ ও টগর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এক লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি আলী আজগর। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৪৪ ভোট। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৩টি। ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
৫টিতে নৌকা, ১টিতে স্বতন্ত্র
দিনাজপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে নৌকা ও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা। ট্রাক মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট। দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২। তার নিকটতম ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন ইকবালুর রহিম। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট। এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শিবলী সাদিক।
৫ আসনেই নৌকার প্রার্থীরা
পাবনা সংবাদদাতা
পাবনার পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। ঘোষিত ফলাফলে পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীকে ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। এ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) শামসুল হক আম প্রতীকে ২৭৭ ভোট, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ) পারভীন খাতুন মশাল প্রতীকে ১৯০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির জয়নাল আবেদীন সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪০১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সরদার শাজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীকে ১,৬৫,৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙর প্রতীকে পেয়েছেন ৪,৩৮২ ভোট। পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীকে ১,১৯,৪৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১,০০,১৫৯ ভোট। পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ নৌকা প্রতীকে ১,৬৭,৪৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪,৬৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক প্রিন্স ১,৫৭,২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩,৩১৬ ভোট।
নতুন এমপি পেলো মিরসরাই
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। তবে একই ঘরে এই পদ রয়ে গেছে। বাবার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ছেলে। ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তার ছেলে মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। মাহবুব উর রহমান ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মিরসরাইয়ে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ জন। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৫। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) পান ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান (চেয়ার) পান ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) পান ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) পান ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মনোনীত শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা) পান ৪৬ ভোট।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তার মেজ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে দল। ৭ জানুয়ারি তাকে মিরসরাইবাসী বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমরা ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভোটে বিজয়ী হলেন যারা

আপডেট সময় : ১২:১৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

শরীয়তপুর সংবাদদাতা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন অপু, এনামুল হক শামীম ও নাহিম রাজ্জাক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ তার কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। বিজয়ী নাহিম রাজ্জাক টানা চতুর্থবার, ইকবাল হোসেন অপু ও একেএম এনামুল হক শামীম দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৮ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৯ ভোটারের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪৭৮টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন। শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৭ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ ভোটাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ৯০১টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন।
শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট) আসনে নৌকা প্রতীকের নাহিম রাজ্জাক ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৯ ভোট। আসনটির ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ ভোটারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১১০টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৫টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ জন। নির্বাচনে জেলার তিনটি আসন থেকে ১২টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। শরীয়তপুর থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো-আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা, মুক্তিজোট, তরিকত ফেডারেশন ও ইসলামী ঐক্যজোট।
৫ আসনে নৌকা, ৩টিতে স্বতন্ত্র
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলে ৫টিতে নৌকা আর ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এক লাখ ৭৪ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক (ট্রাক) পেয়েছেন চার হাজার ১৭৮ ভোট। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির এক লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু (ঈগল) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান রানা (ঈগল) ৮২ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান খান পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (ট্রাক) ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন (ঈগল) ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু এক লাখ ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস (ঈগল) পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৯২ ভোট। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (গামছা) পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
টানা চতুর্থবারের মতো ছেলুন-টগর
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গায় টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও আলী আজগর টগর। ছেলুন চুয়াডাঙ্গা-১ ও টগর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এক লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি আলী আজগর। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৪৪ ভোট। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৩টি। ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
৫টিতে নৌকা, ১টিতে স্বতন্ত্র
দিনাজপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে নৌকা ও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা। ট্রাক মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট। দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২। তার নিকটতম ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন ইকবালুর রহিম। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট। এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শিবলী সাদিক।
৫ আসনেই নৌকার প্রার্থীরা
পাবনা সংবাদদাতা
পাবনার পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। ঘোষিত ফলাফলে পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীকে ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। এ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) শামসুল হক আম প্রতীকে ২৭৭ ভোট, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ) পারভীন খাতুন মশাল প্রতীকে ১৯০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির জয়নাল আবেদীন সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪০১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সরদার শাজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীকে ১,৬৫,৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙর প্রতীকে পেয়েছেন ৪,৩৮২ ভোট। পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীকে ১,১৯,৪৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১,০০,১৫৯ ভোট। পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ নৌকা প্রতীকে ১,৬৭,৪৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪,৬৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক প্রিন্স ১,৫৭,২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩,৩১৬ ভোট।
নতুন এমপি পেলো মিরসরাই
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। তবে একই ঘরে এই পদ রয়ে গেছে। বাবার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ছেলে। ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তার ছেলে মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। মাহবুব উর রহমান ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মিরসরাইয়ে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ জন। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৫। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) পান ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান (চেয়ার) পান ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) পান ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) পান ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মনোনীত শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা) পান ৪৬ ভোট।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তার মেজ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে দল। ৭ জানুয়ারি তাকে মিরসরাইবাসী বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমরা ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।