ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
আবেদন সংশোধনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ=====

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ভোটার তালিকার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটারের ছবি তোলা হয়- ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি যে পঁচিশ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে তারা কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পরে তা আমরা জনগণকে দেখানোর জন্য উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখানে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে তাহলে তাদেরকে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সেখানে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করবো।

আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তালিকায় যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে একইসঙ্গে আমরা আগাম আরও এক বছরে তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবো। আমরা শুধু মাত্র পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করবো না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের পহেলা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করবো। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবো। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না।

সব নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাবে তখন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সহযোগিতা এবং মৃত ভোটারের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

নতুন ভোটারদের আবেদন সংশোধনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ: নতুনদের ভোটার হওয়ার সময় ফরমে কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে সেগুলো সংশোধন করতে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নতুন ভোটারদের দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সংশোধন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে যেসব ভোটার ১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ভোটার হিসেবে যোগ্য হবেন, তাদের বিষয়ে ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ১৭ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের ভোটার এলাকা/অধিক্ষেত্রসমূহের খসড়া ভোটার তালিকার বিষয়ে নির্ধারিত ফরমে দাখিল করা দাবি (ফরম-৬), আপত্তি (ফরম-৭) ও সংশোধন (ফরম-৮) সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। দাবি-আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

ভোটার হতে যেসব কাগজ লাগবে
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
২. জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের (বাবা-মা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি
৪. এসএসসি/দাখিল/সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি/চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)

সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এ তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ, অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে, তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। বাকি ৪ লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা, ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।

তিনি আরো বলেন, “যারা বাদ পড়লেন, আমরা চাই, তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এসব বাদপড়া ভোটার ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। আগামী বছর মার্চের পর থেকে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আবেদন সংশোধনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ=====

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি যে পঁচিশ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে তারা কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পরে তা আমরা জনগণকে দেখানোর জন্য উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখানে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে তাহলে তাদেরকে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সেখানে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করবো।

আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তালিকায় যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে একইসঙ্গে আমরা আগাম আরও এক বছরে তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবো। আমরা শুধু মাত্র পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করবো না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের পহেলা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করবো। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবো। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না।

সব নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাবে তখন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সহযোগিতা এবং মৃত ভোটারের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

নতুন ভোটারদের আবেদন সংশোধনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ: নতুনদের ভোটার হওয়ার সময় ফরমে কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে সেগুলো সংশোধন করতে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নতুন ভোটারদের দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সংশোধন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে যেসব ভোটার ১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ভোটার হিসেবে যোগ্য হবেন, তাদের বিষয়ে ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ১৭ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের ভোটার এলাকা/অধিক্ষেত্রসমূহের খসড়া ভোটার তালিকার বিষয়ে নির্ধারিত ফরমে দাখিল করা দাবি (ফরম-৬), আপত্তি (ফরম-৭) ও সংশোধন (ফরম-৮) সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। দাবি-আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

ভোটার হতে যেসব কাগজ লাগবে
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
২. জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের (বাবা-মা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি
৪. এসএসসি/দাখিল/সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি/চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)

সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এ তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ, অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে, তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। বাকি ৪ লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা, ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।

তিনি আরো বলেন, “যারা বাদ পড়লেন, আমরা চাই, তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এসব বাদপড়া ভোটার ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। আগামী বছর মার্চের পর থেকে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।