ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো কি না বোঝার উপায়

  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তেল ছাড়া রান্না করার কথা যেনো ভাবাই যায় না। আলু ভাজা হোক কিংবা মাছের ঝোল, রান্না করতে গেলে তেল তো লাগবেই। আর তেল মানে যতই খাঁটি বলে প্রচার করা হোক না কেন, তাতে সামান্য পরিমাণে হলেও ভেজাল তো রয়েছেই। এই সত্যিটা সকলেরই জানা।
অসাধু ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে সরিষার তেল তৈরি করে থাকে। আর সয়াবিন তেলে ভেজাল হিসেবে মেশানো হচ্ছে পাম তেল, পোড়া মবিল, পশুর চর্বি ও খনিজ তেল।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বোতলজাত ভোজ্য তেলেও অস্বাস্থ্যকর পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাজার থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কিছু বোতলজাত ও খোলা ভোজ্যতেল সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় কয়েকটি ব্র্যান্ডের তেলে কস্টিক সোডা ও বিষাক্ত কেমিক্যালের অস্তিত্ব মিলেছে। বাজার থেকে খোলা তেল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে এ তেলের সিংহভাগই ভেজাল ও খাবারের অনুপযোগী। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চক্র রান্নার প্রধান উপকরণ ভোজ্যতেলে সাবান তৈরির পাম অয়েল ও বস্ত্রকলের বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রণ করে বাজারজাত করছে। চক্রগুলো সাবান, বস্ত্রকলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খনিজ তেল (হোয়াইট অয়েল), সাবান তৈরির পাম অয়েল ও পশুর চর্বি আমদানি করে তা ভোজ্যতেলে মিশ্রণ করছে। এগুলো বাজারে সয়াবিন, বিনো ও পাম তেল হিসেবে বিক্রি হয়। আর এসব তেলে তৈরি খাদ্য আহারে মানবদেহে জটিল ও কঠিন রোগের জন্ম দিচ্ছে। এছাড়াও ভোজ্যতেলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে এমন সব বিষাক্ত পদার্থ, যা শরীরের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর। রান্নার তেলে মেশানো হচ্ছে ‘টিওসিপি’(ট্রাই-অর্থো-ক্রেসেল-ফসফেট) নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই গণ বিষক্রিয়া হওয়ার পিছনের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এই অর্গ্যানোফসফরাস জাতীয় পদার্থ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিষাক্ত পদার্থটি পেটে যাওয়ার ১০-২০ দিনের মাথায় প্রাথমিক উপসর্গ ধরা পড়বে। তলপেটে ব্যথা হওয়া কিংবা প্যারেসস্থেশিয়া দেখা দিতে পারে। তারপর ক্রমে পেশি দুর্বল হবে। এমনকি নি¤œাঙ্গে প্যারালিসিসও হয়ে যেতে পারে।
বিষাক্ত পদার্থ মেশানো আছে কি না বোঝার উপায় : একটি বাটিতে ২ মিলি লিটার তেল নিন। এবার তাতে এক চামচ হলুদ মাখন মেশান। এতে যদি তেলের রং না বদলায়, তা হলে তেলে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো নেই। আর যদি তেলের রং লালচে হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হন। সেই তেল আর খাবেন না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভোজ্যতেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো কি না বোঝার উপায়

আপডেট সময় : ১০:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তেল ছাড়া রান্না করার কথা যেনো ভাবাই যায় না। আলু ভাজা হোক কিংবা মাছের ঝোল, রান্না করতে গেলে তেল তো লাগবেই। আর তেল মানে যতই খাঁটি বলে প্রচার করা হোক না কেন, তাতে সামান্য পরিমাণে হলেও ভেজাল তো রয়েছেই। এই সত্যিটা সকলেরই জানা।
অসাধু ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে সরিষার তেল তৈরি করে থাকে। আর সয়াবিন তেলে ভেজাল হিসেবে মেশানো হচ্ছে পাম তেল, পোড়া মবিল, পশুর চর্বি ও খনিজ তেল।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বোতলজাত ভোজ্য তেলেও অস্বাস্থ্যকর পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাজার থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কিছু বোতলজাত ও খোলা ভোজ্যতেল সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় কয়েকটি ব্র্যান্ডের তেলে কস্টিক সোডা ও বিষাক্ত কেমিক্যালের অস্তিত্ব মিলেছে। বাজার থেকে খোলা তেল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে এ তেলের সিংহভাগই ভেজাল ও খাবারের অনুপযোগী। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চক্র রান্নার প্রধান উপকরণ ভোজ্যতেলে সাবান তৈরির পাম অয়েল ও বস্ত্রকলের বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রণ করে বাজারজাত করছে। চক্রগুলো সাবান, বস্ত্রকলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খনিজ তেল (হোয়াইট অয়েল), সাবান তৈরির পাম অয়েল ও পশুর চর্বি আমদানি করে তা ভোজ্যতেলে মিশ্রণ করছে। এগুলো বাজারে সয়াবিন, বিনো ও পাম তেল হিসেবে বিক্রি হয়। আর এসব তেলে তৈরি খাদ্য আহারে মানবদেহে জটিল ও কঠিন রোগের জন্ম দিচ্ছে। এছাড়াও ভোজ্যতেলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে এমন সব বিষাক্ত পদার্থ, যা শরীরের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর। রান্নার তেলে মেশানো হচ্ছে ‘টিওসিপি’(ট্রাই-অর্থো-ক্রেসেল-ফসফেট) নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই গণ বিষক্রিয়া হওয়ার পিছনের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এই অর্গ্যানোফসফরাস জাতীয় পদার্থ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিষাক্ত পদার্থটি পেটে যাওয়ার ১০-২০ দিনের মাথায় প্রাথমিক উপসর্গ ধরা পড়বে। তলপেটে ব্যথা হওয়া কিংবা প্যারেসস্থেশিয়া দেখা দিতে পারে। তারপর ক্রমে পেশি দুর্বল হবে। এমনকি নি¤œাঙ্গে প্যারালিসিসও হয়ে যেতে পারে।
বিষাক্ত পদার্থ মেশানো আছে কি না বোঝার উপায় : একটি বাটিতে ২ মিলি লিটার তেল নিন। এবার তাতে এক চামচ হলুদ মাখন মেশান। এতে যদি তেলের রং না বদলায়, তা হলে তেলে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো নেই। আর যদি তেলের রং লালচে হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হন। সেই তেল আর খাবেন না।