ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে বাড়ল ২ টাকা, ব্যবসায়ীরা বললেন কমলো

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দর লিটারপ্রতি ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর নতুন এই দর নির্ধারণ করা হয়। এদিনই নতুন দর কার্যকর হচ্ছে। এর আগে ১৫ মার্চ প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৯ টাকা করা হয়েছিল।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, ‘তেলের দাম যা বাড়ানো হয়েছিল রোজার মাসকে বিবেচনায় রেখে তা আবার ৩ টাকা কমানো হয়েছ
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি বাজারে লিটার প্রতি ৫ টাকা দাম বাড়াতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে তারা সেখান থেকে ৩ টাকা ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।’
অর্থাৎ সোমবার থেকে গত ১৫ মার্চ সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার ১৩৯ টাকা দামের সঙ্গে আরও দুই টাকা যোগ হয়ে ১৪১ টাকায় বিক্রি হবে সয়াবিন তেল।
গত ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা করে বিক্রির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা আর কার্যকর থাকছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শফিকুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘অনির্ধারিত বৈঠকে’ দামের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করার ঘোষণা দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা মেনে নেয়নি। তবে ২৫ এপ্রিলের সেই প্রস্তাবের পর থেকে খুচরা পর্যায়ে অনেক দোকানে বাড়তি ওই দরেই তেল বিক্রি হয়েছে। সোমবারের দর নির্ধারণের পর এ নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে চলতি বছরে তিন দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দাম নির্ধারণের পর ১৫ মার্চ আরেক দফায় দাম বাড়ানো হয়েছিল। এর বাইরেও ধাপে ধাপে খোলা বাজারে তেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ছিল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা যা এখন ১২০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও ছিল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে যা এখন ১৩৯ থেকে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১০ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে এনবিআর।
বাংলাদেশে যে তেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি টন ৮০০ থেকে ৯০০ ডলারের মধ্যে থাকা সয়াবিন তেল এখন এক হাজার ১০০ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনগণের বিরুদ্ধে কাজের পরিণতি কী, তা আমরা ৫ আগস্ট দেখেছি: তারেক রহমান

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে বাড়ল ২ টাকা, ব্যবসায়ীরা বললেন কমলো

আপডেট সময় : ১২:০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দর লিটারপ্রতি ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর নতুন এই দর নির্ধারণ করা হয়। এদিনই নতুন দর কার্যকর হচ্ছে। এর আগে ১৫ মার্চ প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৯ টাকা করা হয়েছিল।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, ‘তেলের দাম যা বাড়ানো হয়েছিল রোজার মাসকে বিবেচনায় রেখে তা আবার ৩ টাকা কমানো হয়েছ
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি বাজারে লিটার প্রতি ৫ টাকা দাম বাড়াতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে তারা সেখান থেকে ৩ টাকা ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।’
অর্থাৎ সোমবার থেকে গত ১৫ মার্চ সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার ১৩৯ টাকা দামের সঙ্গে আরও দুই টাকা যোগ হয়ে ১৪১ টাকায় বিক্রি হবে সয়াবিন তেল।
গত ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা করে বিক্রির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা আর কার্যকর থাকছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শফিকুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘অনির্ধারিত বৈঠকে’ দামের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করার ঘোষণা দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা মেনে নেয়নি। তবে ২৫ এপ্রিলের সেই প্রস্তাবের পর থেকে খুচরা পর্যায়ে অনেক দোকানে বাড়তি ওই দরেই তেল বিক্রি হয়েছে। সোমবারের দর নির্ধারণের পর এ নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে চলতি বছরে তিন দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দাম নির্ধারণের পর ১৫ মার্চ আরেক দফায় দাম বাড়ানো হয়েছিল। এর বাইরেও ধাপে ধাপে খোলা বাজারে তেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ছিল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা যা এখন ১২০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও ছিল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে যা এখন ১৩৯ থেকে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১০ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে এনবিআর।
বাংলাদেশে যে তেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি টন ৮০০ থেকে ৯০০ ডলারের মধ্যে থাকা সয়াবিন তেল এখন এক হাজার ১০০ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।