ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোগাই, কংস, জিঞ্জিরামের পানিতে বন্যার অবনতি

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ভেতরে ও তৎসংলগ্ন ভারতের রাজ্যগুলোয় অতিভারী বৃষ্টিতে ভোগাই, কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরীর পানি কুল ছাপিয়ে লোকালয় প্লাবিত করেছে৷ এতে ময়মনসিংহ বিভাগে সবকটি জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, যা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে। গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভোগাই নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে শেরপুর জেলার ভোগাই নদী নাকুয়াগাঁও ও জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমুহের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভোগাই- কংস, জিঞ্জিরাম ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। নদী তীরবর্তী শেরপুর, জামালপুর, ও ময়মনসিংহ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং নেত্রকোণা জেলার কংস নদের পানির সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করে কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ পরবর্তী ২ দিনে নদী সমূহের পানির সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুইদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। বিভাগের এই নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, সাঙ্গু, মুহুরি, হালদা, ফেনী ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল নদীসমুহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি একদিন এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজমান রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিকের থেকে অধিক উচ্চতার জোয়ার এবং কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) পরিলক্ষিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তী দুদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তি একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুদিন ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, তবে এ সময়ে নদীসমূহ বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রাজশাহী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দুদিন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ- আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, পূনর্ভবা, ঘাঘট, ইছামতি-যমুনা, টাঙন ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। ঢাকা জেলা এবং এর নিকটবর্তী প্রধান নদীসমূহ- বুড়িগঙ্গা, টঙ্গী খাল, তুরাগ ও বালু নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুদিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভোগাই, কংস, জিঞ্জিরামের পানিতে বন্যার অবনতি

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ভেতরে ও তৎসংলগ্ন ভারতের রাজ্যগুলোয় অতিভারী বৃষ্টিতে ভোগাই, কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরীর পানি কুল ছাপিয়ে লোকালয় প্লাবিত করেছে৷ এতে ময়মনসিংহ বিভাগে সবকটি জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, যা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে। গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভোগাই নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে শেরপুর জেলার ভোগাই নদী নাকুয়াগাঁও ও জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমুহের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভোগাই- কংস, জিঞ্জিরাম ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। নদী তীরবর্তী শেরপুর, জামালপুর, ও ময়মনসিংহ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং নেত্রকোণা জেলার কংস নদের পানির সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করে কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ পরবর্তী ২ দিনে নদী সমূহের পানির সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুইদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। বিভাগের এই নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, সাঙ্গু, মুহুরি, হালদা, ফেনী ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল নদীসমুহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি একদিন এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজমান রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিকের থেকে অধিক উচ্চতার জোয়ার এবং কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) পরিলক্ষিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তী দুদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তি একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুদিন ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, তবে এ সময়ে নদীসমূহ বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রাজশাহী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দুদিন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ- আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, পূনর্ভবা, ঘাঘট, ইছামতি-যমুনা, টাঙন ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। ঢাকা জেলা এবং এর নিকটবর্তী প্রধান নদীসমূহ- বুড়িগঙ্গা, টঙ্গী খাল, তুরাগ ও বালু নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুদিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে।