ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার আরও ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার, পানি সহায়তা করা হয়।

ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানান, এই বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।

ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরীয়তপুরের ৭ জন, মাদারীপুরের ৬ জন, গোপালগঞ্জের ৪ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ ও সিলেটের ২ জন করে এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার একজন করে রয়েছেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এতটা বেড়েছে যে, বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষর করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার আরও ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন

আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার, পানি সহায়তা করা হয়।

ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানান, এই বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।

ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরীয়তপুরের ৭ জন, মাদারীপুরের ৬ জন, গোপালগঞ্জের ৪ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ ও সিলেটের ২ জন করে এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার একজন করে রয়েছেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এতটা বেড়েছে যে, বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষর করে।