ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি

  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরুর পর ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌযান ডুবে প্রায় ১০০ জন মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) ও জাতিসংঘের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল সোমবারের এক প্রতিবেদনে নৌকাডুবির এ খবর জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে, ‘গত শনিবার ভোরে আলেগ্রিয়া-১ নামের বাণিজ্যিক একটি ট্যাংকার চারজনকে উদ্ধার করেছে। আলেগ্রিয়া-১-এর সঙ্গে যোগাযোগও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, জীবিত উদ্ধার ওই ৪ ব্যক্তি প্রায় ১০০ মানুষকে নিয়ে একটি নৌকায় অন্তত ৪ দিন সমুদ্রে থাকার কথা জানিয়েছেন।’
এএফপি ট্যাংকারের সঙ্গে যোগাযোগের নথিটি দেখেছে। নথিতে ট্যাংকার কর্তৃপক্ষ বলেছে, পানিতে ডুবে প্রায় ৯৬ জন মারা গেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে আরও একটি ট্র্যাজেডিতে ৯০ জনের বেশি মারা গেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান টুইট করেছেন, ‘ইউরোপ উদার ও কার্যকরভাবে ইউক্রেন থেকে ৪০ লাখ শরণার্থীকে সাদরে গ্রহণ করে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। কীভাবে অন্যান্য উদ্বাস্তু ও দরজায় কড়া নাড়া অভিবাসীর ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করা যায়, ইউরোপের এখন জরুরিভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।’
জাতিসংঘ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান। মূলত লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়ে থাকেন এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এটাই এখন হয়ে উঠেছে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের প্রধান রুট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরুর পর ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌযান ডুবে প্রায় ১০০ জন মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) ও জাতিসংঘের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল সোমবারের এক প্রতিবেদনে নৌকাডুবির এ খবর জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে, ‘গত শনিবার ভোরে আলেগ্রিয়া-১ নামের বাণিজ্যিক একটি ট্যাংকার চারজনকে উদ্ধার করেছে। আলেগ্রিয়া-১-এর সঙ্গে যোগাযোগও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, জীবিত উদ্ধার ওই ৪ ব্যক্তি প্রায় ১০০ মানুষকে নিয়ে একটি নৌকায় অন্তত ৪ দিন সমুদ্রে থাকার কথা জানিয়েছেন।’
এএফপি ট্যাংকারের সঙ্গে যোগাযোগের নথিটি দেখেছে। নথিতে ট্যাংকার কর্তৃপক্ষ বলেছে, পানিতে ডুবে প্রায় ৯৬ জন মারা গেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে আরও একটি ট্র্যাজেডিতে ৯০ জনের বেশি মারা গেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান টুইট করেছেন, ‘ইউরোপ উদার ও কার্যকরভাবে ইউক্রেন থেকে ৪০ লাখ শরণার্থীকে সাদরে গ্রহণ করে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। কীভাবে অন্যান্য উদ্বাস্তু ও দরজায় কড়া নাড়া অভিবাসীর ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করা যায়, ইউরোপের এখন জরুরিভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।’
জাতিসংঘ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান। মূলত লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়ে থাকেন এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এটাই এখন হয়ে উঠেছে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের প্রধান রুট।