চারপাশে অন্ধকার। স্ক্রিনে নীলাভ আলো। ভয়ে-আতঙ্কে শরীর ঘেমে যাচ্ছে। কিছুতেই অন্যদিকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। হঠাৎ চিৎকার!— যারা ভূতের সিনেমা দেখেন তাদের কাছে এমন পরিস্থিতি খুব পরিচিত। তবে যতই ভয় লাগুক, ভূতের গল্প-সিনেমা ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।
যারা ভূতের সিনেমা দেখেন তাদের শরীর-মন সবই ভালো থাকে। এমনটাই বলছে গবেষকরা। তা হলো
ক্যালোরি পোড়ায়: ভূতের সিনেমা দেখলে মনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা পর্দায় ভূতপ্রেতের উপস্থিতিতেও আপনিও হয়তো বারবার সোফা বা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়। গবেষকদের মতে, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান।
দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে: দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে সাহায্য করে ভূতের সিনেমা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে একজন মানুষ এতটাই মশগুল হয়ে পড়েন যে, বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো ছোট মনে হয়।
মস্তিষ্ক সক্রিয় করে: ধরুন আপনি ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এ সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। এতে মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: গবেষণায় দেখা গেছে, ভয়ের সিনেমা দেখার সময় নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়। এতে রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করে: প্রেমের প্রথম উষ্ণতার আঁচ পেতে সঙ্গীকে নিয়ে ভয়ের সিনেমা দেখার চেয়ে ভালো উপায় আর কিছু হতে পারে না। ভয়ের অজুহাতে আচমকা জড়িয়ে ধরার আনন্দ পেতেই পারেন। আর এভাবেই বাড়বে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা।
ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ। মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন? এমন পরিস্থিতিতে সময় বের করে ভয়ের বা ভূতের সিনেমা দেখতে পারেন। এতে মন ভালো হয়ে যাবে।
ভূতের সিনেমা দেখলে শরীর-মন ভালো থাকে
ট্যাগস :
ভূতের সিনেমা দেখলে শরীর-মন ভালো থাকে
জনপ্রিয় সংবাদ