ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

ভুল তথ্য-ভুয়া খবর প্রকাশে হবে জেল

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভুল তথ্য-ভুয়া খবর প্রকাশে জেলের বিধান রেখে তুরস্কে নতুন একটি বিল পাস হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) নতুন এ মিডিয়া আইন অনুমোদন করে। আইন অনুসারে, গুজব, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করলে সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ব্যক্তির তিন বছরের জেল হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিল দেশে বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।
নতুন আইনটিকে ‘সেন্সরশিপ বিল’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। বিলটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের অনুমোদনের জন্য গেছে। তিনি অনুমোদন করলেই এটি আইনে পরিণত হবে।
নির্বাচনের আট মাস আগে নতুন এ আইন তুরস্কের গণমাধ্যমের ওপর সরকারের দৃঢ়তা আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তুর্কি পার্লামেন্টের ৩৩৩টি আসন এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও তার জাতীয়তাবাদী মিত্র এমএইচপির কাছে। বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা বিলটির বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত এটি অনুমোদিত হয়।
আইনে ৪০টি সংশোধনী রয়েছে। প্রতিটি সংশোধনীর জন্য আলাদা ভোটের প্রয়োজন ছিল। আইনটি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করার ক্ষমতা রাখে। যারা এ অপরাধে সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত হবেন, তারা ব্যক্তিগত তথ্যসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিবরণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে দিতে বাধ্য থাকবেন। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক; যারাই ভুয়া তথ্য ছড়াবেন, আইনের আওতায় তাদের তিন বছর জেল হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তুরস্কের সরকার অনলাইন মাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোয় নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে। যদিও বিরোধীরা মিডিয়া আউটলেটে সরকারি বিজ্ঞাপন ও ঘোষণাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
তুরস্কের আইনে প্রেসিডেন্টকে অপমান করলে এক থেকে চার বছরের কারাদ-ের বিধান রয়েছে। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়কালীন তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ উঠেছে।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বলছে, তুর্কি সরকার দেশটির ৯০ শতাংশ গণমাধ্যম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা অ্যালতের দাবি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে তুরস্ক। নতুন আইন কার্যকর হলে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবেই না। একে পার্টি অবশ্য দাবি করেছে, ভুয়া, ভুল, মিথ্য তথ্যের ঢেউ রোধে এ সেন্সরশিপ বিলে দরকার ছিল। বিলটি সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য হয়নি।
এএফপি বলছে, তুরস্কের সরকার সম্প্রতি সাপ্তাহিক ডিসইনফরমেশন বুলেটিন প্রকাশ করা শুরু করেছে। যার উদ্দেশ্য সঠিক এবং সত্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদকে মোকাবিলা করা।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভুল তথ্য-ভুয়া খবর প্রকাশে হবে জেল

আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভুল তথ্য-ভুয়া খবর প্রকাশে জেলের বিধান রেখে তুরস্কে নতুন একটি বিল পাস হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) নতুন এ মিডিয়া আইন অনুমোদন করে। আইন অনুসারে, গুজব, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করলে সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ব্যক্তির তিন বছরের জেল হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিল দেশে বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।
নতুন আইনটিকে ‘সেন্সরশিপ বিল’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। বিলটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের অনুমোদনের জন্য গেছে। তিনি অনুমোদন করলেই এটি আইনে পরিণত হবে।
নির্বাচনের আট মাস আগে নতুন এ আইন তুরস্কের গণমাধ্যমের ওপর সরকারের দৃঢ়তা আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তুর্কি পার্লামেন্টের ৩৩৩টি আসন এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও তার জাতীয়তাবাদী মিত্র এমএইচপির কাছে। বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা বিলটির বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত এটি অনুমোদিত হয়।
আইনে ৪০টি সংশোধনী রয়েছে। প্রতিটি সংশোধনীর জন্য আলাদা ভোটের প্রয়োজন ছিল। আইনটি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করার ক্ষমতা রাখে। যারা এ অপরাধে সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত হবেন, তারা ব্যক্তিগত তথ্যসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিবরণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে দিতে বাধ্য থাকবেন। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক; যারাই ভুয়া তথ্য ছড়াবেন, আইনের আওতায় তাদের তিন বছর জেল হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তুরস্কের সরকার অনলাইন মাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোয় নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে। যদিও বিরোধীরা মিডিয়া আউটলেটে সরকারি বিজ্ঞাপন ও ঘোষণাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
তুরস্কের আইনে প্রেসিডেন্টকে অপমান করলে এক থেকে চার বছরের কারাদ-ের বিধান রয়েছে। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়কালীন তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ উঠেছে।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বলছে, তুর্কি সরকার দেশটির ৯০ শতাংশ গণমাধ্যম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা অ্যালতের দাবি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে তুরস্ক। নতুন আইন কার্যকর হলে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবেই না। একে পার্টি অবশ্য দাবি করেছে, ভুয়া, ভুল, মিথ্য তথ্যের ঢেউ রোধে এ সেন্সরশিপ বিলে দরকার ছিল। বিলটি সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য হয়নি।
এএফপি বলছে, তুরস্কের সরকার সম্প্রতি সাপ্তাহিক ডিসইনফরমেশন বুলেটিন প্রকাশ করা শুরু করেছে। যার উদ্দেশ্য সঠিক এবং সত্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদকে মোকাবিলা করা।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই