ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভুয়া তথ্য প্রচার প্রতিরোধে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের

  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রমী ভুয়া তথ্য প্রচার প্রতিরোধে সদস্য সব দেশকে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি প্রযুক্তি কোম্পানি ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

এছাড়া তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এআই-নির্মিত ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে শিক্ষিত করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করারও পরামর্শ দেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, বক্তৃতায় বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সুফল ও ঝুঁকির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এআই সংঘাত প্রতিরোধ, শান্তিরক্ষা, সংঘাত-পরবর্তী পুনরুদ্ধার, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং আরও সঠিক মানবিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একই সময়ে এআইয়ের অপব্যবহার যেমন- দায়িত্বহীন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, ভুয়া তথ্য প্রচার, ডিপফেক ভিডিও এবং অ্যালগরিদমিক পক্ষপাত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যেখানে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। উচ্চ জনঘনত্বের কারণে অনলাইন ভুয়া তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এর ফলে বাস্তব জগতে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত যখন এই ভুয়া তথ্য দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়, তখন নীতি প্রণয়নের চ্যালেঞ্জ আরো বড় হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমী সহযোগিতা অপরিহার্য।

তিনি মানবিক তদারকি ও জবাবদিহির গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাষ্ট্রগুলোর সম্মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং মানবিক তদারকিকে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানান।

বক্তৃতার শেষদিকে তিনি আরো বলেন, এসব উদ্যোগ শুধু শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এআইয়ের সুফল যেন সর্বজনের জন্য সমানভাবে পৌঁছায় এবং এর ঝুঁকি সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে তা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এসব উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

এসি/আপ্র/২৫/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা

ভুয়া তথ্য প্রচার প্রতিরোধে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রমী ভুয়া তথ্য প্রচার প্রতিরোধে সদস্য সব দেশকে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি প্রযুক্তি কোম্পানি ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

এছাড়া তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এআই-নির্মিত ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে শিক্ষিত করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করারও পরামর্শ দেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, বক্তৃতায় বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সুফল ও ঝুঁকির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এআই সংঘাত প্রতিরোধ, শান্তিরক্ষা, সংঘাত-পরবর্তী পুনরুদ্ধার, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং আরও সঠিক মানবিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একই সময়ে এআইয়ের অপব্যবহার যেমন- দায়িত্বহীন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, ভুয়া তথ্য প্রচার, ডিপফেক ভিডিও এবং অ্যালগরিদমিক পক্ষপাত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যেখানে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। উচ্চ জনঘনত্বের কারণে অনলাইন ভুয়া তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এর ফলে বাস্তব জগতে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত যখন এই ভুয়া তথ্য দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়, তখন নীতি প্রণয়নের চ্যালেঞ্জ আরো বড় হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমী সহযোগিতা অপরিহার্য।

তিনি মানবিক তদারকি ও জবাবদিহির গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাষ্ট্রগুলোর সম্মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং মানবিক তদারকিকে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানান।

বক্তৃতার শেষদিকে তিনি আরো বলেন, এসব উদ্যোগ শুধু শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এআইয়ের সুফল যেন সর্বজনের জন্য সমানভাবে পৌঁছায় এবং এর ঝুঁকি সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে তা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এসব উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

এসি/আপ্র/২৫/০৯/২০২৫