ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

ভিন্নমতের ওপর তালেবানের দমনপীড়নের নিন্দা জানাল জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ১১:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে ভিন্নমতের লোকজনের ওপর তালেবানের দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এসব কর্মকা- বন্ধে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করা হয়। খবর বিবিসির।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকেই অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন দেশটির নারীরা। সেসব বিক্ষোভে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় তালেবান সদস্যরা। বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরাও।
বিবৃতিতে নারী বিক্ষোভকারীদের ওপর তালেবানের চড়াও হওয়ার সমালোচনা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। তিনি বলেন, ‘যাঁরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছেন এবং যেসব সাংবাদিক এসব বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছেন, তাঁদের নির্বিচারে আটক করছে তালেবান। তাঁদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ করতে আমরা তলেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোয় তালেবানের হাতে চারজন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক কিশোরও রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিপেটা, বেত্রাঘাত, এমনকি গুলিও চালানো হয়েছিল বলে সংস্থাটির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে নানা বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে তালেবান। গত বুধবার দেশটিতে তারা অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর এক দিন আগেই আফগানিস্তানের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোকে কাবুলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর চালানো হামলার সমালোচনাও করা হয়েছে। কাবুলে বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সাংবাদিক বেদম মারধরের শিকার হন তালেবান সদস্যের হাতে। তাঁদের শরীরে আঘাতের বীভৎস ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারে রাখা হয়নি কোনো নারী সদস্যকে। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সমর্থন দেয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভিন্নমতের ওপর তালেবানের দমনপীড়নের নিন্দা জানাল জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১১:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে ভিন্নমতের লোকজনের ওপর তালেবানের দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এসব কর্মকা- বন্ধে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করা হয়। খবর বিবিসির।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকেই অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন দেশটির নারীরা। সেসব বিক্ষোভে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় তালেবান সদস্যরা। বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরাও।
বিবৃতিতে নারী বিক্ষোভকারীদের ওপর তালেবানের চড়াও হওয়ার সমালোচনা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। তিনি বলেন, ‘যাঁরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছেন এবং যেসব সাংবাদিক এসব বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছেন, তাঁদের নির্বিচারে আটক করছে তালেবান। তাঁদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ করতে আমরা তলেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোয় তালেবানের হাতে চারজন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক কিশোরও রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিপেটা, বেত্রাঘাত, এমনকি গুলিও চালানো হয়েছিল বলে সংস্থাটির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে নানা বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে তালেবান। গত বুধবার দেশটিতে তারা অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর এক দিন আগেই আফগানিস্তানের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোকে কাবুলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর চালানো হামলার সমালোচনাও করা হয়েছে। কাবুলে বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সাংবাদিক বেদম মারধরের শিকার হন তালেবান সদস্যের হাতে। তাঁদের শরীরে আঘাতের বীভৎস ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারে রাখা হয়নি কোনো নারী সদস্যকে। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সমর্থন দেয়নি।