ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের যত অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :” মাউশির নির্দেশনা অমান্য করে টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায়, নিয়োগ বা ভর্তি পরীক্ষায় রুম ভাড়ার অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজের পছন্দের ছাত্রীদের পূর্ণ ও অর্ধেক ফ্রি সুবিধা দেওয়াসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাধারণ অভিভাবকরা।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন আনিসুর রহমান আনিস। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের একাংশ অধ্যক্ষের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা আধিদপ্তর (মাউশি) টিউশন ফি ছাড়া কোনো ফি ধার্য না করার নির্দেশ দিয়েছে এবং ২০২০ সালে যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দিতে বা পরবর্তী বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। অথচ এই অধ্যক্ষ তা দেনই নাই অধিকন্তু ২০২১ সালের ৩ হাজার টাকা করে সেশন চার্জ আদায় করেছে সরকারি আদেশ অমান্য করে। এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। তাই আমরা এ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি শুক্র ও শনিবার কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি বা নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করা হচ্ছে, যার সিংহভাগ নাহার আত্মসাৎ করছেন। আরও বলা হয়, অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে সহায়তা করছেন অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষের পিএ দিলরুবা খাতুন। অবসরে যাওয়া এই পিএ বিনা বেতনে প্রতিদিন অফিস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কেবল অধ্যক্ষের সকল অনৈতিক অনিয়ম কার্যকলাপ গোপন ও আড়াল রাখার জন্য। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুই পদে থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন, অভিভাবকদের গাড়ি পার্কিং থেকে আদায়কৃত টাকার সঠিক হিসাব না রাখা এবং অভিভাবকদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা না করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া সম্প্রতি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে স্কুলের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পালকে হাইকোর্টের আদেশে অপসারণ করা হলেও তাকে স্বপদে বহাল রাখারও অভিযোগ আনা হয় কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে। যদিও সাধারণ অভিভাবকদের আনা এসব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ অভিযোগ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই সংবাদ সম্মেলন সেই ষড়ন্ত্রেরই অংশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের যত অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:৫০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :” মাউশির নির্দেশনা অমান্য করে টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায়, নিয়োগ বা ভর্তি পরীক্ষায় রুম ভাড়ার অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজের পছন্দের ছাত্রীদের পূর্ণ ও অর্ধেক ফ্রি সুবিধা দেওয়াসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাধারণ অভিভাবকরা।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন আনিসুর রহমান আনিস। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের একাংশ অধ্যক্ষের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা আধিদপ্তর (মাউশি) টিউশন ফি ছাড়া কোনো ফি ধার্য না করার নির্দেশ দিয়েছে এবং ২০২০ সালে যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দিতে বা পরবর্তী বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। অথচ এই অধ্যক্ষ তা দেনই নাই অধিকন্তু ২০২১ সালের ৩ হাজার টাকা করে সেশন চার্জ আদায় করেছে সরকারি আদেশ অমান্য করে। এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। তাই আমরা এ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি শুক্র ও শনিবার কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি বা নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করা হচ্ছে, যার সিংহভাগ নাহার আত্মসাৎ করছেন। আরও বলা হয়, অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে সহায়তা করছেন অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষের পিএ দিলরুবা খাতুন। অবসরে যাওয়া এই পিএ বিনা বেতনে প্রতিদিন অফিস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কেবল অধ্যক্ষের সকল অনৈতিক অনিয়ম কার্যকলাপ গোপন ও আড়াল রাখার জন্য। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুই পদে থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন, অভিভাবকদের গাড়ি পার্কিং থেকে আদায়কৃত টাকার সঠিক হিসাব না রাখা এবং অভিভাবকদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা না করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া সম্প্রতি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে স্কুলের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পালকে হাইকোর্টের আদেশে অপসারণ করা হলেও তাকে স্বপদে বহাল রাখারও অভিযোগ আনা হয় কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে। যদিও সাধারণ অভিভাবকদের আনা এসব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ অভিযোগ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই সংবাদ সম্মেলন সেই ষড়ন্ত্রেরই অংশ।