ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে: জিএম কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার তেলের দাম না কমিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী’ অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “সরকার অযৌক্তিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দাবি করেছিলাম, তেলের দাম কমাতে। কিন্তু সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।”
জ্বালানি তেল এবং ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘গণবিরোধী’ মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, “আমরা ডিজেল, কেরোসিন এর বর্ধিত দাম কমানোর দাবি করছি। পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথের বর্ধিত ভাড়াও কমানোর দাবি জানাচ্ছি।”
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে সরকার গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকেই সেই দাম কার্যকর করা হয়। পরদিনই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। বলা হয়, ডিজেলের দাম না কমালে অথবা ভাড়া না বাড়ালে তাদের পক্ষে লোকসান দিয়ে রাস্তায় গাড়ি নামানো সম্ভব না। পরে শনিবার লঞ্চও বন্ধ করে দেয় মালিকরা। টানা তিন দুর্ভোগের পর রোববার বাস ও লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং নৌযানের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ায় সরকার। জিএম কাদের বিবৃতিতে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ও যানবাহনের ভাড়া বাড়ায় সাধারণ মানুষ ‘অসহনীয় ভোগান্তির’ শিকার হবে। তেলের দাম বাড়ার সাথে জীবনযাত্রার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে ‘কয়েক গুণ’।
“করোনাকালে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত। পাশের দেশ ভারতও এই মুহূর্তে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তাই জীবনযাত্রার ব্যায় স্বাভাবিক করতে জ্বালানি তেল ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো অত্যান্ত জরুরি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে: জিএম কাদের

আপডেট সময় : ০২:০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার তেলের দাম না কমিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী’ অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “সরকার অযৌক্তিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দাবি করেছিলাম, তেলের দাম কমাতে। কিন্তু সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।”
জ্বালানি তেল এবং ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘গণবিরোধী’ মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, “আমরা ডিজেল, কেরোসিন এর বর্ধিত দাম কমানোর দাবি করছি। পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথের বর্ধিত ভাড়াও কমানোর দাবি জানাচ্ছি।”
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে সরকার গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকেই সেই দাম কার্যকর করা হয়। পরদিনই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। বলা হয়, ডিজেলের দাম না কমালে অথবা ভাড়া না বাড়ালে তাদের পক্ষে লোকসান দিয়ে রাস্তায় গাড়ি নামানো সম্ভব না। পরে শনিবার লঞ্চও বন্ধ করে দেয় মালিকরা। টানা তিন দুর্ভোগের পর রোববার বাস ও লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং নৌযানের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ায় সরকার। জিএম কাদের বিবৃতিতে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ও যানবাহনের ভাড়া বাড়ায় সাধারণ মানুষ ‘অসহনীয় ভোগান্তির’ শিকার হবে। তেলের দাম বাড়ার সাথে জীবনযাত্রার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে ‘কয়েক গুণ’।
“করোনাকালে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত। পাশের দেশ ভারতও এই মুহূর্তে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তাই জীবনযাত্রার ব্যায় স্বাভাবিক করতে জ্বালানি তেল ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো অত্যান্ত জরুরি।”