নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ভালো স্কুলে পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হতো। এতে দুর্বলরা ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পেতো না। সেটি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল ভর্তি লটারি স্থায়ী করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ভালো নম্বর পাওয়া শিশুরা একটি স্কুলে, বাকি শিশুরা অন্য স্কুলে পড়বে, এটাই ছিল আমাদের অবস্থা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন মিক্স লেভেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিচ্ছেন। ফলে দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। ডিজিটাল ভর্তির মাধ্যমে ভর্তি-বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল, যেসব অনৈতিক ভর্তি কোচিং ও অনাকাক্সিক্ষত তদবির ছিল, এখন আর এ সুযোগ নেই। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। আমরা কী শিখছি বিষয়টি এমন নয়, আমরা কীভাবে ও কী করে শিখছি এ বিষয়ও রয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা উপকরণেও পরিবর্তন আসবে। সে অনুযায়ী কাজ করছে সরকার। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বড় পরিবর্তন করতে চাই। দীপু মনি বলেন, শিক্ষার সব পর্যায়ে আমরা মানোন্নয়ন করবো। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষানির্ভর। মনে হয় পুরো প্রক্রিয়ায় একটি সনদ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা লড়ছে। পুরো বিষয়টি এমন যে, ‘কত নম্বর পেলাম’। আসলে আমাদের মাইন্ডসেটের বিষয়ে একটি সমস্যা আছে। আমরা এর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি। ‘যে ভর্তিযুদ্ধ করতে হতো, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তা থেকে আমরা বের করে এনেছি। আমাদের যেসব নেতিবাচক চর্চা রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
ভালো স্কুলে দুর্বলরাও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ