ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ভালো রায় হয়েছে, আমরা খুশি: বাদীপক্ষ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : দেড় বছর আগে কক্সবাজারে সংঘটিত সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
গতকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বিকালে তার রায়ে সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রায়ের পর আদালত চত্বরে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “মূল কিলার দুজন তাদের ফাঁসি হয়েছে। আমরা খুশি…। মোটামুটি খুব ভালো জাজমেন্ট হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা সন্তষ্ট।
“প্রদীপের নির্দেশে এই গুলি করা হয়েছে। লিয়াকত চারটি গুলি করছে; তারা কিল করছে।” আইনজীবী আরও বলেন, “আর যে সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তারা শতভাগ নির্দোষ এটা বলা যাবে না। কারণ, তারা এপিবিএন সদস্য। তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল চেকপোস্টটি। সেটি যদি সেদিন তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।”
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান বাদীপক্ষের এই আইনজীবী। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এরপর ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামী করে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। রায় শুনতে সোমবার মাকে নিয়ে কক্সবাজারে ছিলেন মামলার বাদী। রায় ঘোষণার পর তিনিও গণমাধ্যমের কাছে নিজের সন্তোষ্টির কথা তুলে ধরেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভালো রায় হয়েছে, আমরা খুশি: বাদীপক্ষ

আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধি : দেড় বছর আগে কক্সবাজারে সংঘটিত সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
গতকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বিকালে তার রায়ে সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রায়ের পর আদালত চত্বরে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “মূল কিলার দুজন তাদের ফাঁসি হয়েছে। আমরা খুশি…। মোটামুটি খুব ভালো জাজমেন্ট হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা সন্তষ্ট।
“প্রদীপের নির্দেশে এই গুলি করা হয়েছে। লিয়াকত চারটি গুলি করছে; তারা কিল করছে।” আইনজীবী আরও বলেন, “আর যে সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তারা শতভাগ নির্দোষ এটা বলা যাবে না। কারণ, তারা এপিবিএন সদস্য। তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল চেকপোস্টটি। সেটি যদি সেদিন তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।”
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান বাদীপক্ষের এই আইনজীবী। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এরপর ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামী করে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। রায় শুনতে সোমবার মাকে নিয়ে কক্সবাজারে ছিলেন মামলার বাদী। রায় ঘোষণার পর তিনিও গণমাধ্যমের কাছে নিজের সন্তোষ্টির কথা তুলে ধরেন।