ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ভালো থাকার জন্য কয়েকটি ভালো কাজ

  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মুখে ‘ভালো আছি’ বললেই কি ভালো থাকা যায়? বর্তমানে সবাই কর্মব্যস্ত জীবন পার করছেন। আর কাজের ফাঁকে সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করেও হয়তো ব্যর্থ হন। ফলে ভালো থাকতে অনেকেই ভিন্ন পথ বেছে নেন।
আসলে কাজের সময় কাজ করতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে কাজ শেষে সময়কে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একমাত্র সেই সময়টুকুই নিজের জন্য। তাই নিজের সার্বিক উন্নতির জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন দরকার। ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে প্রতিদিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভালো থাকতে হলে কোন কোন কাজ করা আবশ্যক-
> দিন শেষে ফিরে দেখার অভ্যাস করতে হবে। সারাদিন কী কী করলেন কিংবা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আরও কী কী করতে পারতেন কিংবা কী কী ভুল করেছেন আবার সেগুলো কীভাবেই বা শুধরে নেবেন, এসব বুঝতে পারলে ও সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করলে পরবর্তী ধাপটাও সহজ হবে।
> সারাদিনের কাজের পর কমবেশি সবাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে পড়েন! তবে এ সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা প্রয়োজন। না হলে রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যেতে পারে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার রুটিনও ব্যাহত হতে পারে।
> বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। যে কোনো গল্পের বই, বা পছন্দের বিষয় এমন কিছু পড়তে হবে। তাতে মনসংযোগ বাড়বে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তবে পড়ার সময় কখনো মোবাইল বা ল্যাপটপ দেখবেন না।
> পরের দিন কী করবেন তার পরিকল্পনা করে রাখুন আগের দিন। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে পরের দিন কাজ করতেও সুবিধা হবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যা যা করতে হবে, তা সময় নির্দিষ্ট করতে করে তালিকা তৈরি করে রাখুন।
> কাজ শেষে সময় দিন পরিবারকে। পরিবারের সমস্যা, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে হবে। যে কোনো বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলতে হবে। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা বা কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে এই সময়ে।
> অনেকেই কাজের জন্য সকালে হাঁটার সময় পান না। তাই সন্ধ্যায় হাঁটা বা শরীরচর্চার অভ্যাস করতে পারেন। এতে মন শান্ত হবে। রাতে ঘুম হবে ভালো। গভীর প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন এই সময়।
> অবসর সময়ে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে পারেন। এতে মন ভালো হয়ে যাবে। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট সময় দিলেই গুছিয়ে ফেলতে পারেন ঘর। ঘরের পরিবেশ সুন্দর করতে পরিষ্কারের পর পছন্দের কোনো রুম ফ্রেশনার স্প্রে করতে পারেন ঘরে।
> নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ত্বক ও চুলের যত্ন নিন। গোসল করুন নিয়মিত। চাইলে মাঝে মধ্যে বিউটি পার্লার থেকেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
> ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে আনুন ইতিবাচক ভাবনা। সারাদিন যেমনই কাটুক, ঘুমানোর আগে চোখ বন্ধ করে ভেবে নিন আগামীকাল সব ঠিক থাকবে। খুশি থাকতে পারবেন। চাইলে কিছুক্ষণ মেডিটেশনও করে নিতে পারেন। এতে মন শান্ত হবে। সূত্র: এবিপি নিউজ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভালো থাকার জন্য কয়েকটি ভালো কাজ

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মুখে ‘ভালো আছি’ বললেই কি ভালো থাকা যায়? বর্তমানে সবাই কর্মব্যস্ত জীবন পার করছেন। আর কাজের ফাঁকে সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করেও হয়তো ব্যর্থ হন। ফলে ভালো থাকতে অনেকেই ভিন্ন পথ বেছে নেন।
আসলে কাজের সময় কাজ করতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে কাজ শেষে সময়কে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একমাত্র সেই সময়টুকুই নিজের জন্য। তাই নিজের সার্বিক উন্নতির জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন দরকার। ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে প্রতিদিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভালো থাকতে হলে কোন কোন কাজ করা আবশ্যক-
> দিন শেষে ফিরে দেখার অভ্যাস করতে হবে। সারাদিন কী কী করলেন কিংবা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আরও কী কী করতে পারতেন কিংবা কী কী ভুল করেছেন আবার সেগুলো কীভাবেই বা শুধরে নেবেন, এসব বুঝতে পারলে ও সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করলে পরবর্তী ধাপটাও সহজ হবে।
> সারাদিনের কাজের পর কমবেশি সবাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে পড়েন! তবে এ সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা প্রয়োজন। না হলে রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যেতে পারে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার রুটিনও ব্যাহত হতে পারে।
> বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। যে কোনো গল্পের বই, বা পছন্দের বিষয় এমন কিছু পড়তে হবে। তাতে মনসংযোগ বাড়বে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তবে পড়ার সময় কখনো মোবাইল বা ল্যাপটপ দেখবেন না।
> পরের দিন কী করবেন তার পরিকল্পনা করে রাখুন আগের দিন। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে পরের দিন কাজ করতেও সুবিধা হবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যা যা করতে হবে, তা সময় নির্দিষ্ট করতে করে তালিকা তৈরি করে রাখুন।
> কাজ শেষে সময় দিন পরিবারকে। পরিবারের সমস্যা, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে হবে। যে কোনো বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলতে হবে। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা বা কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে এই সময়ে।
> অনেকেই কাজের জন্য সকালে হাঁটার সময় পান না। তাই সন্ধ্যায় হাঁটা বা শরীরচর্চার অভ্যাস করতে পারেন। এতে মন শান্ত হবে। রাতে ঘুম হবে ভালো। গভীর প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন এই সময়।
> অবসর সময়ে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে পারেন। এতে মন ভালো হয়ে যাবে। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট সময় দিলেই গুছিয়ে ফেলতে পারেন ঘর। ঘরের পরিবেশ সুন্দর করতে পরিষ্কারের পর পছন্দের কোনো রুম ফ্রেশনার স্প্রে করতে পারেন ঘরে।
> নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ত্বক ও চুলের যত্ন নিন। গোসল করুন নিয়মিত। চাইলে মাঝে মধ্যে বিউটি পার্লার থেকেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
> ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে আনুন ইতিবাচক ভাবনা। সারাদিন যেমনই কাটুক, ঘুমানোর আগে চোখ বন্ধ করে ভেবে নিন আগামীকাল সব ঠিক থাকবে। খুশি থাকতে পারবেন। চাইলে কিছুক্ষণ মেডিটেশনও করে নিতে পারেন। এতে মন শান্ত হবে। সূত্র: এবিপি নিউজ