ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ভালোবাসা দিবসের আবেদন

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

১। সঙ্গী যদি চা কিংবা কফি খেতে পছন্দ করে তবে টি/কফি বক্স কিনে দিতে পারেন তাকে। কাঠের চমৎকার বক্স পাওয়া যায় বাজারে। খোপে খোপে টি ব্যাগ বা কফির প্যাকেট সাজিয়ে রাখা যায় সহজেই।
২। একটি বক্সে বিভিন্ন রঙের চুড়ি সাজিয়ে উপহার দিতে পারেন স্ত্রীকে।
৩। চলছে বইমেলা। সঙ্গীর পছন্দের লেখকের বই কিনে দিতে পারেন উপহার হিসেবে।
৪। দেশিদশসহ বিভিন্ন দোকান ও অনলাইনেও পাবেন ভালোবাসা দিবসের বিশেষ মগ। উপহার হতে পারে এটি।
৫। শাড়ি, চুড়ি, টিপ ও গয়না ম্যাচিং করে বক্স হিসেবে দিতে পারেন উপহার।
৬। সঙ্গী গ্যাজেটপ্রেমী হলে উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন স্মার্ট ওয়াচ বা ব্লু টুথ হেড ফোন।
৭। এক বক্স চকলেট ও একটি টেডি হতে পারে ভালোবাসা দিবসের উপহার।
৮। এক গুচ্ছ ফুলের সঙ্গে একটি ফটোফ্রেম দিতে পারেন উপহার। ফ্রেমে নিজেদের চমৎকার কোনও মুহূর্তের ছবি লাগিয়ে নেবেন।
৯। সানগ্লাস কিংবা পছন্দের সুগন্ধি উপহার হতে পারে বিশেষ দিনে।
১০। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুন্দর ডিজাইনের কেক। সঙ্গী চমকে যাবে নিশ্চয়!
শালিনতায় আলিঙ্গনেই মধুর আবেদন ও সুস্থতা: ভ্যালেন্টাইন উইক আজ শেষ হবে ভালোবাসা দিবসের মধ্য দিয়ে। পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালোবাসার নানা দিন পালন করা হয়। এরমধ্যে প্রতিবছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় হাগ ডে বা আলিঙ্গনের দিন। ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালেবাসা সপ্তাহের ৬ষ্ঠ দিন পালন করা হয় দিনটি। এদিন প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার কায়দাই বুঝিয়ে দেবে আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন। শুধু প্রেম নিবেদনের জন্যই নয় বরং প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের পদ্ধতির একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। প্রিয়জনকে আলতো করে স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে মনে ভিন্ন এক সুখ ও শান্তি হয়। যখন কেউ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন তখন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখের অনুভূতি দেয়। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আলিঙ্গন করা বা জড়িয়ে ধরা হয়। শুধু যে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবেন, তা কিন্তু নয়। মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধু-বান্ধব আপনি যাকেই জড়িয়ে ধরুন না কেন এরই মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। কারণ ইতিবচিক শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে সবারই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যেমন-আলিঙ্গন মানুষের ভয়-ভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমনকি শারীরিক ব্যথাও কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটিই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার অংশগ্রহণকারীর উপর করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, আলিঙ্গনের মাধ্যমে মেলে স্বস্তি, উষ্ণতা ও ভালোবাসা। বিশেষজ্ঞদের মতে, জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে শুধু মনকেই নয় বরং শরীরকেও ভালো রাখতে পারেন। কীভাবে জানেন?
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামক প্রেশার রিসেপটর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আলিঙ্গনের চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না। কারণ প্রিয়জনের সামান্য স্পর্শ প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট।
আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে: কোনো কাজ করার আগে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ বয়সের সঙ্গে একাকিত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। যা প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে কাটানো যায়। আমরা যখন কাউকে জড়িয়ে ধরি তখন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসারিত হয়। এই কর্টিসোল হরমোন আমাদের জীবনে স্ট্রেস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে যত বেশি জড়িয়ে ধরবেন, ততই কমবে কর্টিসোল হরমোনের পরিমাণ। মানসিকভাবে শান্ত রাখতে পারে একটি ছোট্ট হাগ বা আলিঙ্গন।
তবে ঠিক কতক্ষণ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে এসব উপকার মিলবে? একটি গবেষণায় এ বিষয় পরীক্ষা করতে অংশগ্রহণকারীদের ১, ৫ ও ১০ সেকেন্ডের জন্য আলিঙ্গন করেন। ফলাফলে দেখা যায়, ১ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে কম আনন্দদায়ক বলে মনে হয়েছিল। যেখানে ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয় বলে জানা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলিঙ্গনের সময়কাল শরীরকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে ‘সুখী হরমোন’ বা ‘অক্সিটোসিন হরমোন’ উৎপন্ন হয়। যাকে ‘আলিঙ্গন’ বা ‘প্রেম’ হরমোনও বলা হয়। তাই যত বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করা হয়, তত বেশিই এই হরমোন উৎপন্ন হয়। ফলে আমরা ততটাই আনন্দবোধ করি। পারিবারিক থেরাপিস্ট ভার্জিনিয়া সাতিরের মতে, প্রতিদিন ৪টি আলিঙ্গন করুন বেঁচে থাকার জন্য। ৮টি আলিঙ্গন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। দিনে ১২টি আলিঙ্গন করুন বৃদ্ধির জন্য। আলিঙ্গনে যেহেতু কোনো অসুবিধা নেই তাই এটি উপেক্ষা করবেন না। বরং প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। সূত্র: হেলথলাইন/ ব্রাইটসাইড
নিজেকে ভালোবাসার দিন: অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসা উচিত। অর্থাৎ আত্ম-প্রেম। ভালোবাসা দিবসের আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় সেই দিবস। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেকে ভালো না বাসলে আপনি অন্যকে কখনো সত্যিকারের ভালোবাসতে পারবেন না। স্ব-প্রেমের সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, একজন ব্যক্তির ভালবাসার অনুভূতিকে শক্তিশালী করতে পারে সেল্ফ লাভ। যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন?
বেশিরভাগ মানুষই এটি সহজ মনে করেন, আবার অনেকে এটি স্বীকার করতেও ভয় পান। আবার কেউ যদি জানায় যে, তিনি নিজেকে ভালোবাসেন তাহলে অন্যরা তাকে স্বার্থপর বলে ভাবেন। তবে এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয় যে, নিজেকে ভালোবাসা মানেই স্বার্থপর হওয়া। আত্ম-প্রেম আসলে একটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য, যা আপনাকে জীবনে সফল হতে সাহায্য করতে পারে। প্রাচীন গ্রীসে, আত্ম-প্রেমকে ছয় ধরনের প্রেমের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৯৫০ সালের দিকে বিট জেনারেশন ও ১৯৬০ সালে হিপ্পি যুগে আত্ম-প্রেম প্রথম মূলধারার মানসিকতা ও জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে। জনপ্রিয় সাহিত্য ও কবিতা তখন থেকে বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করছে। নিজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে আপনি যে কোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারবেন, আর এই মনোভাবকে উৎসাহ দিতেই প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় সেল্ফ লাভ ডে। আত্ম-প্রেমের শক্তি জীবনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝানো হয় এই দিবসে। যা পরবর্তী সময়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও সাহস বাড়াতে সাহায্য করে। ক্রিস্টিন আরিলো প্রথম আত্ম-প্রেম দিবস শুরু করেছিলেন। দিনটি ভালোবাসা দিবসের একদিন আগে। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র দিন যখন সিঙ্গেলরা সুখী দম্পতিদের দেখে দুঃখবোধ করেন, তারা আগে নিজেকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার ভালোবাসার মানুষও আপনাকে অনেক ভালোবাসবেন। সূত্র: ন্যাশনাল টুডে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভালোবাসা দিবসের আবেদন

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

১। সঙ্গী যদি চা কিংবা কফি খেতে পছন্দ করে তবে টি/কফি বক্স কিনে দিতে পারেন তাকে। কাঠের চমৎকার বক্স পাওয়া যায় বাজারে। খোপে খোপে টি ব্যাগ বা কফির প্যাকেট সাজিয়ে রাখা যায় সহজেই।
২। একটি বক্সে বিভিন্ন রঙের চুড়ি সাজিয়ে উপহার দিতে পারেন স্ত্রীকে।
৩। চলছে বইমেলা। সঙ্গীর পছন্দের লেখকের বই কিনে দিতে পারেন উপহার হিসেবে।
৪। দেশিদশসহ বিভিন্ন দোকান ও অনলাইনেও পাবেন ভালোবাসা দিবসের বিশেষ মগ। উপহার হতে পারে এটি।
৫। শাড়ি, চুড়ি, টিপ ও গয়না ম্যাচিং করে বক্স হিসেবে দিতে পারেন উপহার।
৬। সঙ্গী গ্যাজেটপ্রেমী হলে উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন স্মার্ট ওয়াচ বা ব্লু টুথ হেড ফোন।
৭। এক বক্স চকলেট ও একটি টেডি হতে পারে ভালোবাসা দিবসের উপহার।
৮। এক গুচ্ছ ফুলের সঙ্গে একটি ফটোফ্রেম দিতে পারেন উপহার। ফ্রেমে নিজেদের চমৎকার কোনও মুহূর্তের ছবি লাগিয়ে নেবেন।
৯। সানগ্লাস কিংবা পছন্দের সুগন্ধি উপহার হতে পারে বিশেষ দিনে।
১০। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুন্দর ডিজাইনের কেক। সঙ্গী চমকে যাবে নিশ্চয়!
শালিনতায় আলিঙ্গনেই মধুর আবেদন ও সুস্থতা: ভ্যালেন্টাইন উইক আজ শেষ হবে ভালোবাসা দিবসের মধ্য দিয়ে। পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালোবাসার নানা দিন পালন করা হয়। এরমধ্যে প্রতিবছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় হাগ ডে বা আলিঙ্গনের দিন। ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালেবাসা সপ্তাহের ৬ষ্ঠ দিন পালন করা হয় দিনটি। এদিন প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার কায়দাই বুঝিয়ে দেবে আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন। শুধু প্রেম নিবেদনের জন্যই নয় বরং প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের পদ্ধতির একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। প্রিয়জনকে আলতো করে স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে মনে ভিন্ন এক সুখ ও শান্তি হয়। যখন কেউ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন তখন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখের অনুভূতি দেয়। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আলিঙ্গন করা বা জড়িয়ে ধরা হয়। শুধু যে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবেন, তা কিন্তু নয়। মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধু-বান্ধব আপনি যাকেই জড়িয়ে ধরুন না কেন এরই মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। কারণ ইতিবচিক শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে সবারই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যেমন-আলিঙ্গন মানুষের ভয়-ভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমনকি শারীরিক ব্যথাও কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটিই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার অংশগ্রহণকারীর উপর করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, আলিঙ্গনের মাধ্যমে মেলে স্বস্তি, উষ্ণতা ও ভালোবাসা। বিশেষজ্ঞদের মতে, জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে শুধু মনকেই নয় বরং শরীরকেও ভালো রাখতে পারেন। কীভাবে জানেন?
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামক প্রেশার রিসেপটর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আলিঙ্গনের চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না। কারণ প্রিয়জনের সামান্য স্পর্শ প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট।
আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে: কোনো কাজ করার আগে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ বয়সের সঙ্গে একাকিত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। যা প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে কাটানো যায়। আমরা যখন কাউকে জড়িয়ে ধরি তখন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসারিত হয়। এই কর্টিসোল হরমোন আমাদের জীবনে স্ট্রেস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে যত বেশি জড়িয়ে ধরবেন, ততই কমবে কর্টিসোল হরমোনের পরিমাণ। মানসিকভাবে শান্ত রাখতে পারে একটি ছোট্ট হাগ বা আলিঙ্গন।
তবে ঠিক কতক্ষণ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে এসব উপকার মিলবে? একটি গবেষণায় এ বিষয় পরীক্ষা করতে অংশগ্রহণকারীদের ১, ৫ ও ১০ সেকেন্ডের জন্য আলিঙ্গন করেন। ফলাফলে দেখা যায়, ১ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে কম আনন্দদায়ক বলে মনে হয়েছিল। যেখানে ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয় বলে জানা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলিঙ্গনের সময়কাল শরীরকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে ‘সুখী হরমোন’ বা ‘অক্সিটোসিন হরমোন’ উৎপন্ন হয়। যাকে ‘আলিঙ্গন’ বা ‘প্রেম’ হরমোনও বলা হয়। তাই যত বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করা হয়, তত বেশিই এই হরমোন উৎপন্ন হয়। ফলে আমরা ততটাই আনন্দবোধ করি। পারিবারিক থেরাপিস্ট ভার্জিনিয়া সাতিরের মতে, প্রতিদিন ৪টি আলিঙ্গন করুন বেঁচে থাকার জন্য। ৮টি আলিঙ্গন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। দিনে ১২টি আলিঙ্গন করুন বৃদ্ধির জন্য। আলিঙ্গনে যেহেতু কোনো অসুবিধা নেই তাই এটি উপেক্ষা করবেন না। বরং প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। সূত্র: হেলথলাইন/ ব্রাইটসাইড
নিজেকে ভালোবাসার দিন: অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসা উচিত। অর্থাৎ আত্ম-প্রেম। ভালোবাসা দিবসের আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় সেই দিবস। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেকে ভালো না বাসলে আপনি অন্যকে কখনো সত্যিকারের ভালোবাসতে পারবেন না। স্ব-প্রেমের সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, একজন ব্যক্তির ভালবাসার অনুভূতিকে শক্তিশালী করতে পারে সেল্ফ লাভ। যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন?
বেশিরভাগ মানুষই এটি সহজ মনে করেন, আবার অনেকে এটি স্বীকার করতেও ভয় পান। আবার কেউ যদি জানায় যে, তিনি নিজেকে ভালোবাসেন তাহলে অন্যরা তাকে স্বার্থপর বলে ভাবেন। তবে এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয় যে, নিজেকে ভালোবাসা মানেই স্বার্থপর হওয়া। আত্ম-প্রেম আসলে একটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য, যা আপনাকে জীবনে সফল হতে সাহায্য করতে পারে। প্রাচীন গ্রীসে, আত্ম-প্রেমকে ছয় ধরনের প্রেমের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৯৫০ সালের দিকে বিট জেনারেশন ও ১৯৬০ সালে হিপ্পি যুগে আত্ম-প্রেম প্রথম মূলধারার মানসিকতা ও জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে। জনপ্রিয় সাহিত্য ও কবিতা তখন থেকে বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করছে। নিজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে আপনি যে কোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারবেন, আর এই মনোভাবকে উৎসাহ দিতেই প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় সেল্ফ লাভ ডে। আত্ম-প্রেমের শক্তি জীবনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝানো হয় এই দিবসে। যা পরবর্তী সময়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও সাহস বাড়াতে সাহায্য করে। ক্রিস্টিন আরিলো প্রথম আত্ম-প্রেম দিবস শুরু করেছিলেন। দিনটি ভালোবাসা দিবসের একদিন আগে। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র দিন যখন সিঙ্গেলরা সুখী দম্পতিদের দেখে দুঃখবোধ করেন, তারা আগে নিজেকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার ভালোবাসার মানুষও আপনাকে অনেক ভালোবাসবেন। সূত্র: ন্যাশনাল টুডে