ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ভার্চুয়াল ও নিয়মিত বেঞ্চ বাড়াতে আইনজীবীদের আবেদন

  • আপডেট সময় : ১১:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থ ও আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চুয়াল এবং ১৮টি নিয়মতি বেঞ্চ চালু এবং বিচারিক আদালত নিয়মিত চালু করার দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনের আহ্বায়ক ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী এ আবেদন করেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ড. মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী নিজে।
আবেদনের বিষয়ে মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, গত ১৩ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টে ৩৫ টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ এবং ১৮টি রেগুলার বেঞ্চ খোলা ছিল। তাই আগামী ৩০ মে থেকে আগের মতো ‘প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে বিচারপ্রার্থী জনগণের স্বার্থে ও আইনজীবীদের স্থবির হয়ে যাওয়া পেশা সচল ও স্বাভাবিক করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে অবিলম্বে ৩৫টি ভার্চুয়াল কোর্ট, ১৮টি নিয়মিত কোর্ট, আগাম জামিন শুনানির এখতিয়ার সম্পন্ন ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ এবং দেশের সর্বনি¤œ আদালতে আসামির আত্মসমর্পণের অধিকার ও ইনজেকশন শুনানিসহ নিয়মিত আদালত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার জন্য অনুরোধ করেছি।
এর আগে একই দাবিতে গত ১৪ মে ঈদের দিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে আবেদন করা হয়। এর পরে ১৯ মে একই দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন তিনি।
একই দাবিতে গত ২৭ এপ্রিল সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে লকডাউনের সময় বিচারকাজ পরিচালনায় হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ চালু রাখার দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের একটি অংশ। সেখানেও নেতৃত্বে দিয়েছিলেন মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
মানববন্ধনে মোমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও লকডাউনের সময় কেন আগের মতো বেঞ্চ গঠন করা হলো না তা প্রধান বিচারপতির কাছে সাধারণ আইনজীবীরা জানতে চান। কেন চিফ জুডিশিয়াল ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট একটি করে চালু রাখা হলো, ৭ হাজার আইনজীবী তা জানতে চান।’
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে মোমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘লকডাউনের সময় আমরা সুপ্রিম কোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল আদালত চাই। কবে থেকে সুপ্রিম কোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল আদালত বসবে তা সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানতে চাই। লকডাউন পরিস্থিতিতে নি¤œ আদালতে দায়রা জজ আদালত, জেলা জজ আদালতসহ সব আদালত ভার্চুয়ালি বসবে—এ দাবি করছি।’ লকডাউন শেষে আবার আগের মতো নিয়মিত কোর্ট ও ভার্চুয়াল কোর্ট বসবে এমন প্রত্যাশাও করেছিলেন তিনি।
সরকার ঘোষিত লকডাউন শুরুর পরে গত ৫ এপ্রিল ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে বলে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট (মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার) ৫-১১ এপ্রিল পর্যন্ত অতি জরুরি বিষয় শুনানি করবেন। এরপরে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৭টি থেকে ১৬টি বেঞ্চ করা হয় হাইকোর্টে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

ভার্চুয়াল ও নিয়মিত বেঞ্চ বাড়াতে আইনজীবীদের আবেদন

আপডেট সময় : ১১:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থ ও আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চুয়াল এবং ১৮টি নিয়মতি বেঞ্চ চালু এবং বিচারিক আদালত নিয়মিত চালু করার দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনের আহ্বায়ক ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী এ আবেদন করেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ড. মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী নিজে।
আবেদনের বিষয়ে মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, গত ১৩ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টে ৩৫ টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ এবং ১৮টি রেগুলার বেঞ্চ খোলা ছিল। তাই আগামী ৩০ মে থেকে আগের মতো ‘প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে বিচারপ্রার্থী জনগণের স্বার্থে ও আইনজীবীদের স্থবির হয়ে যাওয়া পেশা সচল ও স্বাভাবিক করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে অবিলম্বে ৩৫টি ভার্চুয়াল কোর্ট, ১৮টি নিয়মিত কোর্ট, আগাম জামিন শুনানির এখতিয়ার সম্পন্ন ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ এবং দেশের সর্বনি¤œ আদালতে আসামির আত্মসমর্পণের অধিকার ও ইনজেকশন শুনানিসহ নিয়মিত আদালত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার জন্য অনুরোধ করেছি।
এর আগে একই দাবিতে গত ১৪ মে ঈদের দিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে আবেদন করা হয়। এর পরে ১৯ মে একই দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন তিনি।
একই দাবিতে গত ২৭ এপ্রিল সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে লকডাউনের সময় বিচারকাজ পরিচালনায় হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ চালু রাখার দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের একটি অংশ। সেখানেও নেতৃত্বে দিয়েছিলেন মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
মানববন্ধনে মোমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও লকডাউনের সময় কেন আগের মতো বেঞ্চ গঠন করা হলো না তা প্রধান বিচারপতির কাছে সাধারণ আইনজীবীরা জানতে চান। কেন চিফ জুডিশিয়াল ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট একটি করে চালু রাখা হলো, ৭ হাজার আইনজীবী তা জানতে চান।’
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে মোমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘লকডাউনের সময় আমরা সুপ্রিম কোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল আদালত চাই। কবে থেকে সুপ্রিম কোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল আদালত বসবে তা সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানতে চাই। লকডাউন পরিস্থিতিতে নি¤œ আদালতে দায়রা জজ আদালত, জেলা জজ আদালতসহ সব আদালত ভার্চুয়ালি বসবে—এ দাবি করছি।’ লকডাউন শেষে আবার আগের মতো নিয়মিত কোর্ট ও ভার্চুয়াল কোর্ট বসবে এমন প্রত্যাশাও করেছিলেন তিনি।
সরকার ঘোষিত লকডাউন শুরুর পরে গত ৫ এপ্রিল ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে বলে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট (মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার) ৫-১১ এপ্রিল পর্যন্ত অতি জরুরি বিষয় শুনানি করবেন। এরপরে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৭টি থেকে ১৬টি বেঞ্চ করা হয় হাইকোর্টে।