ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ভারত সফরে সিআইএ কর্মকর্তার দেহে ‘হাভানা সিনড্রোমের লক্ষণ’

  • আপডেট সময় : ১১:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র এক কর্মকর্তা চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে যাওয়ার পর তার দেহে হাভানা সিনড্রোমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
গত সোমবার অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন ও নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিআইএ-র ওই কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি সংস্থাটির পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে ভারত সফরে গিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ মার্কিন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে ‘ব্যাখ্যাতীত’ হাভানা সিনড্রোমের লক্ষণ মিলেছে। এই সিনড্রোম প্রথম দেখা যায় ২০১৬-১৭ সালের দিকে, কিউবায়। সেসময় হাভানার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দূতাবাসের কর্মীরা মাথা ঘোরা, ভারসাম্যহীনতা, কানে কম শোনা, স্মৃতি হারানো ও দুশ্চিন্তার মতো লক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। ওয়াশিংটন এর পরপরই কিউবার বিরুদ্ধে ‘সনিক অ্যাটাকের’ অভিযোগ আনে। হাভানা তা উড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ভারত সফরে যাওয়া কর্মকর্তার দেহে হাভানা সিনড্রোমের মত লক্ষণ পাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে সিআইএর এক মুখপাত্র বলেন, তাদের সংস্থা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মন্তব্য করে না। “কেউ যখন সম্ভাব্য অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যগত কোনো ঘটনার কথা জানায় তখন তাকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়াসহ নানান নিয়মকানুন আছে আমাদের,” বলেছেন তিনি।
গত মাসে ভিয়েতনামের মার্কিন দূতাবাস একজনের দেহে হাভানা সিনড্রোমের মত লক্ষণ পাওয়ার কথা জানালে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্ধারিত সময়ের তিনঘণ্টা পর হ্যানয়ে নামেন।
এই সিনড্রোম নিয়ে তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে প্রধান করে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন বার্নস।
যে কর্মকর্তাকে টাস্ক ফোর্সের প্রধান করা হয়েছে, তিনি একসময় ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে কিউবায় অসুস্থ হওয়া কূটনীতিকদের ‘মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা’ খুঁজে পায়। এরপরু গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভবত মাইক্রোওয়েভ বিকিরণই এই রহস্যময় রোগের কারণ। এর পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলে অনুমান বার্নসের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভারত সফরে সিআইএ কর্মকর্তার দেহে ‘হাভানা সিনড্রোমের লক্ষণ’

আপডেট সময় : ১১:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র এক কর্মকর্তা চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে যাওয়ার পর তার দেহে হাভানা সিনড্রোমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
গত সোমবার অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন ও নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিআইএ-র ওই কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি সংস্থাটির পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে ভারত সফরে গিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ মার্কিন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে ‘ব্যাখ্যাতীত’ হাভানা সিনড্রোমের লক্ষণ মিলেছে। এই সিনড্রোম প্রথম দেখা যায় ২০১৬-১৭ সালের দিকে, কিউবায়। সেসময় হাভানার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দূতাবাসের কর্মীরা মাথা ঘোরা, ভারসাম্যহীনতা, কানে কম শোনা, স্মৃতি হারানো ও দুশ্চিন্তার মতো লক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। ওয়াশিংটন এর পরপরই কিউবার বিরুদ্ধে ‘সনিক অ্যাটাকের’ অভিযোগ আনে। হাভানা তা উড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ভারত সফরে যাওয়া কর্মকর্তার দেহে হাভানা সিনড্রোমের মত লক্ষণ পাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে সিআইএর এক মুখপাত্র বলেন, তাদের সংস্থা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মন্তব্য করে না। “কেউ যখন সম্ভাব্য অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যগত কোনো ঘটনার কথা জানায় তখন তাকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়াসহ নানান নিয়মকানুন আছে আমাদের,” বলেছেন তিনি।
গত মাসে ভিয়েতনামের মার্কিন দূতাবাস একজনের দেহে হাভানা সিনড্রোমের মত লক্ষণ পাওয়ার কথা জানালে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্ধারিত সময়ের তিনঘণ্টা পর হ্যানয়ে নামেন।
এই সিনড্রোম নিয়ে তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে প্রধান করে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন বার্নস।
যে কর্মকর্তাকে টাস্ক ফোর্সের প্রধান করা হয়েছে, তিনি একসময় ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে কিউবায় অসুস্থ হওয়া কূটনীতিকদের ‘মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা’ খুঁজে পায়। এরপরু গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভবত মাইক্রোওয়েভ বিকিরণই এই রহস্যময় রোগের কারণ। এর পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলে অনুমান বার্নসের।