নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত গিয়েছিলেন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে।
এবার ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দেয়নি। এবারের সফরের পর আওয়ামী লীগ বুঝেছে তাদের সঙ্গে পৃথিবীর কেউ নেই। একজন প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে রিসিভ করার পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৃত্যে অংশ নেন। তিনি কিছুই আনতে পারেননি ভারত থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি’ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি-শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না এ কথা বলেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনা সভার আয়োজন করে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না বলেন, সরকার যারা গুলি করে সেই মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলে। কিন্তু দেশের বিরোধী দলের সঙ্গে কেন সমঝোতা করছেন না। মানুষকে মিথ্যা কথা বলে এরা বুঝাতে চায়। মানুষ তাদের বুঝবেনা আর। সরকার পড়ে যাবে। তারা জনগনের কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারছে না। বিদেশের কোনো সরকার তাদের সঙ্গে নেই যাদের উপর নির্ভর করতো। অতএব এটাই সময় সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। ইসলামী দলগুলোকে অনুরোধ করবো তারা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলুক। আমরা একটি অন্তবর্তীকালিন সরকার প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছি। আলোচনা আরও হবে। আশা করছি এই আলোচনা সফল হবে এবং লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।
‘১৪ বছর ধরে একা একা আন্দোলন করে কোনো ফল আসেনি। তাই সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে। এখনই সময় আন্দোলন করার। সময় বুঝে আন্দোলনে নামতে হবে। এজন্য হিম্মত থাকতে হবে। ’ যোগ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। আলোচনা সভায় এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাগপার সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রমুখ।