ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারত শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেবে, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা ‘ফ্যাসিস্ট’ প্রমাণিত হওয়ায় ভারত সরকার অবিলম্বে তাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে— দলের এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের দফতরের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের যে পর্যবেক্ষণ কমিটি (তথ্যানুসন্ধান কমিটি) এসেছিলৃ তাদের যে রিপোর্ট, সেই রিপোর্টের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

তারা সঠিকভাবে বলেছেন যে, একজন ব্যক্তি বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সমস্ত হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছেৃ। যে গণহত্যা হয়েছে তার নির্দেশে হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা কিছু হয়েছেদ; সব তার নির্দেশে এখানে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধবংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া; আজ সেটাই রিপোর্টে ফুটে এসেছে যে, এসব তার নির্দেশেই হয়েছে।’ ‘এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। আমরা আজ এখান থেকে তাই বলছি, ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবেৃ, তাকে এবং তার সহযোগী যারা ছিল, তাদের সবাইকে— এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি যে, সত্য যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো আজ উদঘাটন হয়েছে। প্রবলেমটা হচ্ছে যে, জাতিসংঘ যখন বলে তখন আমরা সেগুলো সবাই বিশ্বাস করি। যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। যাই হোক, আমি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ যে টিম এসেছিল, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক ও অন্যরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান তার পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে কার্যালয় থেকে তার গাড়ি বেরিয়ে যায়। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার আজ এখানে এসেছিলেন। এটা পূর্ব-নির্ধারিত ছিল। আজ আবার কাকতালীয়ভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করবেন। কিছুক্ষণ পরেই এই মিটিং হবে।’ ‘আজকের এই বৈঠকটা পূর্বে নির্ধারিত ছিল, ব্রিটিশ হাইকমিশনার নেই। সেজন্য ডেপুটি এসেছেন। আমাদের মধ্যে রুটিন আলোচনা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্থা, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন সেগুলো সম্পর্ক এবং কবে নির্বাচন হচ্ছে প্রভৃতি বিষয়গুলো সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন।’ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
‘আয়না ঘর: ওই সময় সরকার এটাকে ডিনাই করেছিল’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া, হত্যা করা; এটা শুধু পার্টিকুলার কোনও দল নয়, এখানে (আয়নাঘরে) বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবেৃ এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আয়নাঘরের রিপোর্টটা বের হয় আল-জাজিরা চ্যানেলে আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে। তখন কিন্তু এটা সরকার পুরোপুরি ডিনাই করেছে। তারা বলেছে যে, এই ধরনের কিছু নাই। কিন্তু প্রথম থেকেই এই কাজগুলো হচ্ছিল।’ ‘মানুষকে তুলে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে জঙ্গিৃ সে জঙ্গি সংগঠন করছে; এই ধরনের কথা বলে আটক করে নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কথা বের করার চেষ্টা করেছে। কিছু লোককে তারা রেখে দিয়েছিল যে, বিভিন্ন সময়ে তাদেরই দিয়ে জঙ্গি নাটক সাজাবেৃভুলে গেছেন নাকি আপনারা? একেকটা বাড়িতে জঙ্গির ট্রেনিং হচ্ছে, পড়াশোনা হচ্ছে, জঙ্গিবাদ তৈরি করা হচ্ছে, বোমা তৈরি করা হচ্ছে— এসব দেখিয়েছে (সরকার)। কিন্তু আজকে প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেগুলো সত্যি। আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকার ওই সময় অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা বিরোধী দলকে ধ্বংস করেছে।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে নিহত ৫

ভারত শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেবে, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা ‘ফ্যাসিস্ট’ প্রমাণিত হওয়ায় ভারত সরকার অবিলম্বে তাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে— দলের এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের দফতরের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের যে পর্যবেক্ষণ কমিটি (তথ্যানুসন্ধান কমিটি) এসেছিলৃ তাদের যে রিপোর্ট, সেই রিপোর্টের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

তারা সঠিকভাবে বলেছেন যে, একজন ব্যক্তি বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সমস্ত হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছেৃ। যে গণহত্যা হয়েছে তার নির্দেশে হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা কিছু হয়েছেদ; সব তার নির্দেশে এখানে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধবংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া; আজ সেটাই রিপোর্টে ফুটে এসেছে যে, এসব তার নির্দেশেই হয়েছে।’ ‘এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। আমরা আজ এখান থেকে তাই বলছি, ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবেৃ, তাকে এবং তার সহযোগী যারা ছিল, তাদের সবাইকে— এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি যে, সত্য যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো আজ উদঘাটন হয়েছে। প্রবলেমটা হচ্ছে যে, জাতিসংঘ যখন বলে তখন আমরা সেগুলো সবাই বিশ্বাস করি। যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। যাই হোক, আমি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ যে টিম এসেছিল, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক ও অন্যরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান তার পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে কার্যালয় থেকে তার গাড়ি বেরিয়ে যায়। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার আজ এখানে এসেছিলেন। এটা পূর্ব-নির্ধারিত ছিল। আজ আবার কাকতালীয়ভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করবেন। কিছুক্ষণ পরেই এই মিটিং হবে।’ ‘আজকের এই বৈঠকটা পূর্বে নির্ধারিত ছিল, ব্রিটিশ হাইকমিশনার নেই। সেজন্য ডেপুটি এসেছেন। আমাদের মধ্যে রুটিন আলোচনা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্থা, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন সেগুলো সম্পর্ক এবং কবে নির্বাচন হচ্ছে প্রভৃতি বিষয়গুলো সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন।’ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
‘আয়না ঘর: ওই সময় সরকার এটাকে ডিনাই করেছিল’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া, হত্যা করা; এটা শুধু পার্টিকুলার কোনও দল নয়, এখানে (আয়নাঘরে) বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবেৃ এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আয়নাঘরের রিপোর্টটা বের হয় আল-জাজিরা চ্যানেলে আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে। তখন কিন্তু এটা সরকার পুরোপুরি ডিনাই করেছে। তারা বলেছে যে, এই ধরনের কিছু নাই। কিন্তু প্রথম থেকেই এই কাজগুলো হচ্ছিল।’ ‘মানুষকে তুলে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে জঙ্গিৃ সে জঙ্গি সংগঠন করছে; এই ধরনের কথা বলে আটক করে নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কথা বের করার চেষ্টা করেছে। কিছু লোককে তারা রেখে দিয়েছিল যে, বিভিন্ন সময়ে তাদেরই দিয়ে জঙ্গি নাটক সাজাবেৃভুলে গেছেন নাকি আপনারা? একেকটা বাড়িতে জঙ্গির ট্রেনিং হচ্ছে, পড়াশোনা হচ্ছে, জঙ্গিবাদ তৈরি করা হচ্ছে, বোমা তৈরি করা হচ্ছে— এসব দেখিয়েছে (সরকার)। কিন্তু আজকে প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেগুলো সত্যি। আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকার ওই সময় অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা বিরোধী দলকে ধ্বংস করেছে।’