ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

অতিমাত্রায় উত্তেজনার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে আসায় এ দু’টি দেশ বর্তমানে খাদের কিনারায় আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৫ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে এবং বর্তমানে দুই দেশই রীতিমতো ফুটন্ত অবস্থায় আছে। যদি সত্যিই যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।”

যেহেতু উভয় দেশই একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই বর্তমানে উভয়েরই উচিত হবে শান্ত থাকা। একমাত্র তাহলেই খাদের কিনারা থেকে সরে আসা সম্ভব। আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। এ হামলাকে ঘরে গত দু’সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সেনাবাহিনীকে যে কোনো সময় পাকিস্তানে অভিযান শুরুর অনুমতি দিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান গত কয়েক দিনে দু’দফা পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সূত্র: এএফপি, ব্যারন্স

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

অতিমাত্রায় উত্তেজনার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে আসায় এ দু’টি দেশ বর্তমানে খাদের কিনারায় আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৫ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে এবং বর্তমানে দুই দেশই রীতিমতো ফুটন্ত অবস্থায় আছে। যদি সত্যিই যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।”

যেহেতু উভয় দেশই একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই বর্তমানে উভয়েরই উচিত হবে শান্ত থাকা। একমাত্র তাহলেই খাদের কিনারা থেকে সরে আসা সম্ভব। আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। এ হামলাকে ঘরে গত দু’সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সেনাবাহিনীকে যে কোনো সময় পাকিস্তানে অভিযান শুরুর অনুমতি দিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান গত কয়েক দিনে দু’দফা পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সূত্র: এএফপি, ব্যারন্স