নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কমিটির বৈঠকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদন পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয়প্রস্তাবও।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে চালের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, একটা নির্দিষ্ট মানের চালের দাম বেড়েছে বলে আমার কাছে তথ্য এসেছে। বাকিগুলো আগের দামেই আছে। চালের দাম আমাদের অন্যতম একটা উদ্বেগের বিষয়।
আজ নন-বাসমতি চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। বলে দিয়েছি, আপনারা যেখান থেকে পারেন, চাল আমদানি করেন। প্রয়োজন হলে ‘বাফার স্টক’ (বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্য মজুদের কৌশল) করেন। দরকার হলে আমরা স্পেশাল ওএমএস চালু করব।
রোজার আগে কোনো পণ্যের করসুবিধা প্রত্যাহার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছোলা ও ডাল পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সয়াবিন তেল দরকার হলে আরও আমদানি করব।
সাধারণ কিংবা মধ্যবিত্ত সবার জন্য এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। যেসব পণ্যে করছাড় দেওয়া হয়েছে তা রোজা যাওয়ার আগে আর পরিবর্তন করা হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। শুধু ভোক্তা অধিকার দিয়ে হবে না। আমাদের দেশে এখন সবজির কেজি ২০ টাকায় নেমে এসেছে। এটা নিয়েও এখন কথা হচ্ছে।
ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৪৫৮ দশমিক ৮৪ ডলার হিসাবে মোট খরচ পড়বে ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি ইউনিট ১৫ দশমিক ৬৯ ডলার হিসাবে মোট খরচ হবে ৭৫২ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৪১৬ টাকা।
অনেক ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব তো বন্ধ করিনি। শুধু ব্যক্তিগত হিসাব বন্ধ করা হয়েছে।
অন্য যেসব বিকল্প ব্যবসায়ী আছেন, তাদের নিয়ে আমরা বসব। আমরা উৎপাদন, আমদানি বন্ধ করব না। এতোদিন যারা সুযোগ পায়নি, তাদের আমরা সুযোগ দেব।
আয়কর বাড়ানোর প্রসঙ্গেও কথা বলেন সালেহ উদ্দিন। বলেন, থানা পর্যায়ে একটা মুদি দোকানি বহু টাকা আয় করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার চেয়েও তার আয় বেশি। তারা করের আওতায় পড়েন না, পড়লেও অন্যভাবে ম্যানেজ করেন।
তিনি বলেন, অনানুষ্ঠানিক (ইনফরমাল) ব্যবসার অনেকেই ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নেই। গ্রামে বা উপজেলা শহরে বহু ব্যবসায়ী আছেন, যাদের ভ্যাট নিবন্ধন নেই, ইনকাম ট্যাক্সেও তারা নেই। আমরা যেভাবে পারি, তাদের তালিকাভুক্ত করব। এনবিআরকে বলেছি কুইক একটা সার্ভে করে দেখ।