ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ভারত জুড়ে শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ চায় কট্টর হিন্দুরা

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কর্ণাটকে শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় আসার পর আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের কট্টর হিন্দুরা একই দাবিতে সরব হয়েছে।
গত মাসে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ক্লাসে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল মুসলিম শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা, যার পাল্টা প্রতিবাদ করেছিল হিন্দু শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে বিরোধ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে কর্ণাটকের ছয় শিক্ষার্থী পরে আদালতের দ্বারস্থ হন। তারা রাজ্যের উচ্চ আদালতে পিটিশন করেন। যার রায় আসে মঙ্গলবার। আদালত থেকে মঙ্গলবারের রায়ে বলা হয়, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক কোনও ধর্মীয় অনুশীলন না। তাই আদালত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেয়।
উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিশনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, আদালতের ওই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ধর্মীয় পোশাক পরিধান করা উচিত না। ভারতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের পোশাক কেমন হবে সে বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। সাধারণত স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা কি পোশাক পরবে। কর্ণাটকের উচ্চ আদালতের দেওয়া এই রায় যে অন্যান্য রাজ্যের জন্যও নজির সৃষ্টি করবে তা পূর্বেই অনুমান করা হয়েছিল।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট ঋষি ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আমরা হিন্দু রাষ্ট্র এবং আমরা দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক দেখতে চাই না। “আমরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি এবং চাই পুরো দেশজুড়ে একই নিয়ম অনুসরণ করা হোক।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গুজরাট শাখার সেক্রেটারি অশোক রাভাল বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ এবং সরকারি কার্যালয়ে হিজাব পরার অনুমতি নেই। তাহলে স্কুল, কলেজে হিজাব পরা নিয়ে এত জেদ কিসের?”
“এটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর একটি পাঁয়তারা।”
কর্ণাটকের পর এবার মোদীর রাজ্য গুজরাট এবং ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে হিজাব নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বিবিসি থেকে এ বিষয়ে জানতে গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাগানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুজরাটের একজন মন্ত্রী এবং একজন আমলা বিবিসি-কে বলেন, আপাতত রাজ্য সরকারের স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত জুড়ে শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ চায় কট্টর হিন্দুরা

আপডেট সময় : ০২:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কর্ণাটকে শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় আসার পর আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের কট্টর হিন্দুরা একই দাবিতে সরব হয়েছে।
গত মাসে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ক্লাসে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল মুসলিম শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা, যার পাল্টা প্রতিবাদ করেছিল হিন্দু শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে বিরোধ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে কর্ণাটকের ছয় শিক্ষার্থী পরে আদালতের দ্বারস্থ হন। তারা রাজ্যের উচ্চ আদালতে পিটিশন করেন। যার রায় আসে মঙ্গলবার। আদালত থেকে মঙ্গলবারের রায়ে বলা হয়, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক কোনও ধর্মীয় অনুশীলন না। তাই আদালত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেয়।
উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিশনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, আদালতের ওই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ধর্মীয় পোশাক পরিধান করা উচিত না। ভারতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের পোশাক কেমন হবে সে বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। সাধারণত স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা কি পোশাক পরবে। কর্ণাটকের উচ্চ আদালতের দেওয়া এই রায় যে অন্যান্য রাজ্যের জন্যও নজির সৃষ্টি করবে তা পূর্বেই অনুমান করা হয়েছিল।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট ঋষি ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আমরা হিন্দু রাষ্ট্র এবং আমরা দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক দেখতে চাই না। “আমরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি এবং চাই পুরো দেশজুড়ে একই নিয়ম অনুসরণ করা হোক।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গুজরাট শাখার সেক্রেটারি অশোক রাভাল বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ এবং সরকারি কার্যালয়ে হিজাব পরার অনুমতি নেই। তাহলে স্কুল, কলেজে হিজাব পরা নিয়ে এত জেদ কিসের?”
“এটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর একটি পাঁয়তারা।”
কর্ণাটকের পর এবার মোদীর রাজ্য গুজরাট এবং ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে হিজাব নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বিবিসি থেকে এ বিষয়ে জানতে গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাগানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুজরাটের একজন মন্ত্রী এবং একজন আমলা বিবিসি-কে বলেন, আপাতত রাজ্য সরকারের স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই।