ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় সংলাপে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ

  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন- ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ভারত এবং চীনের মধ্যে এক ধরনের সংঘাত আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের সখ্য আছে। আবার আমাদের কিন্তু এ তিন দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের স্বার্থ আছে এ তিনটা জায়গাতেই।

গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংলাপের এক অধিবেশনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এত যে শত্রুতা চীন ও ভারতে, তাদের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণটা আপনারা শুধু খেয়াল করে দেখেন– ১০০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। কাজেই আমাদের স্বার্থ আছে প্রতিটা দেশের সঙ্গে এবং আমাদের আরেকটা স্বার্থ আছে যেহেতু আমরা মেজর প্লেয়ার না ইন্টারন্যাশনাল অ্যারেনাতে। কাজেই আমাদের এক ধরনের ব্যালেন্স মেনটেইন করে চলতে হবে, এটাও কিন্তু একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আলোচনা না করতে পারার কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আরাকান ইস্যুতে এখন দেশটিতে শান্তি না থাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে পারছি না। আজকে, কালকে তো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাও বলতে পারছি না। কার সঙ্গে কথা বলব। এটা নিয়েই তো সমস্যা। আর যে অঞ্চলে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়েছে এবং হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমার রাষ্ট্রের তো কোনো কর্তৃত্ব নাই।

তৌহিদ হোসেন বলেন, কাজেই আমি আশা করছি না যে আগামী দুই মাস-ছয় মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করাতে পারব। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠাতে হবে। না হলে কিন্তু তোমাদেরও শান্তি থাকবে না। তাদেরকে আমি সুস্পষ্ট করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, কাজেই আমাদের যেটা করতে হবে, আবার আমি বলব ঐক্যের প্রয়োজন। অবশ্যই দ্বিমত থাকতে পারে। একই বিষয়ে বিভিন্ন সমাধান তো থাকে। একেক সময় একেক রকম চিন্তা করতে পারে। কিন্তু এই যে একটা জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন সেখানে ঐক্য থাকা জরুরি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

জাতীয় সংলাপে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ভারত এবং চীনের মধ্যে এক ধরনের সংঘাত আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের সখ্য আছে। আবার আমাদের কিন্তু এ তিন দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের স্বার্থ আছে এ তিনটা জায়গাতেই।

গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংলাপের এক অধিবেশনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এত যে শত্রুতা চীন ও ভারতে, তাদের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণটা আপনারা শুধু খেয়াল করে দেখেন– ১০০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। কাজেই আমাদের স্বার্থ আছে প্রতিটা দেশের সঙ্গে এবং আমাদের আরেকটা স্বার্থ আছে যেহেতু আমরা মেজর প্লেয়ার না ইন্টারন্যাশনাল অ্যারেনাতে। কাজেই আমাদের এক ধরনের ব্যালেন্স মেনটেইন করে চলতে হবে, এটাও কিন্তু একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আলোচনা না করতে পারার কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আরাকান ইস্যুতে এখন দেশটিতে শান্তি না থাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে পারছি না। আজকে, কালকে তো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাও বলতে পারছি না। কার সঙ্গে কথা বলব। এটা নিয়েই তো সমস্যা। আর যে অঞ্চলে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়েছে এবং হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমার রাষ্ট্রের তো কোনো কর্তৃত্ব নাই।

তৌহিদ হোসেন বলেন, কাজেই আমি আশা করছি না যে আগামী দুই মাস-ছয় মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করাতে পারব। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠাতে হবে। না হলে কিন্তু তোমাদেরও শান্তি থাকবে না। তাদেরকে আমি সুস্পষ্ট করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, কাজেই আমাদের যেটা করতে হবে, আবার আমি বলব ঐক্যের প্রয়োজন। অবশ্যই দ্বিমত থাকতে পারে। একই বিষয়ে বিভিন্ন সমাধান তো থাকে। একেক সময় একেক রকম চিন্তা করতে পারে। কিন্তু এই যে একটা জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন সেখানে ঐক্য থাকা জরুরি।