ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : প্রতিবছর ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে পড়তে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফুল স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। মূলত ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ২০০ জনকে স্কলারশিপ দিচ্ছে আইসিসিআর। অল্প খরচে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে পড়ার সুযোগ। চলিন যে নেয়া যাক ভারতে স্কলারশিপে কী কী সুযোগ–সুবিধা রয়েছে,
- সম্পূর্ণ টিউশন ফ্রি।
- প্রতি মাসে উপবৃত্তি ১৮ হাজার ভারতীয় রুপি।
- যাওয়া-আসার ফ্লাইট ভাড়া।
আবেদন প্রক্রিয়া
আইসিসিআর প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফরম ছাড়ে। যোগ্যতার ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে ৬০ শতাংশ মার্কস থাকলে আবেদন করতে পারবেন যে কেউ। আইইএলটিএস প্রয়োজন পড়ে না। থাকলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আগের রেজাল্টের চেয়ে পরীক্ষা ও ভাইভা ভালো করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত আবেদনের পর লিখিত পরীক্ষা (ইংরেজি গ্রামারের ওপর) হতো। পরীক্ষায় ফলের পর ভাইভা হয়। এরপর ভাইভাতে টেকার পরই ইন্ডিয়ান হাইকমিশন অফার লেটার পাঠায়। অফার লেটার পাওয়ার পরপরই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ভিসা পাওয়ার অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ইন্ডিয়ায় চলে আসি। এসব কাজ সম্পূর্ণ করতে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন সব ধরনের সাহায্য করে।
এ বছর করোনার কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আর সরাসরি পরীক্ষা হয় না। আইসিসিআর পোর্টালে গিয়ে আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছয়টা নির্ধারিত বিষয় থেকে একটা বিষয় নির্বাচন করে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটা প্রবন্ধ লিখতে (কপি করা যাবে না) হবে। তবে আইসিসিআরে আবেদনের ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট; যেটা থাকা বাধ্যতামূলক। এই স্কলারশিপে সাধারণত ২০০ সিট থাকে, যার মধ্যে ১০০ সিট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বাকি ১০০ সিট থাকে অন্যান্য। আইসিসিআর কোনো মেডিকেল সায়েন্সে স্কলারশিপ প্রদান করে না। আবেদনের লিংক : যঃঃঢ়://ধ২ধংপযড়ষধৎংযরঢ়ং.রপপৎ.মড়া.রহ/
ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য ইয়ার গ্যাপের কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স মিনিমাম ১৮ বছর হতে হবে।
স্কলারশিপ পাওয়ার পর যে বিষয়গুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, তা হচ্ছে এম্বাসিতে গিয়ে অফার লেটার নেওয়া, অবশ্যই সঙ্গে পরিবারের কেউ একজন থাকতে হবে। তার পরপরই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া, প্রয়োজনীয় কিছু কেনার থাকলে তা কিনে ফেলা। বিশেষ করে জামাকাপড় যদি অন্য কিছু প্রয়োজন হয়, তা কিনে রাখা। ভিসা পাওয়ার পরপরই দুই–তিন দিন আগে থেকে টিকিট করে ফেলা।
খরচ
আইসিসিআরে রিপোর্ট করার এক থেকে দুই মাসের মাথায় স্ট্যাইপেন্ড হাতে পাবেন। সেটা আরও কম সময়ও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যত তাড়াতাড়ি হবে। ২০-৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ভারতে পৌঁছে ওঈঈজ–এ রিপোর্ট করার পর আপনাকে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে রিপোর্ট করে ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে। যদি আপনার ইউনিভার্সিটিতে হোস্টেল ব্যবস্থা থাকে তাহলে তাঁরাই আপনাকে সব ব্যবস্থা করে দেবেন। আমার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়নি। যদি না থাকে তাহলে আপনাকে পিজি অথবা বাসা ভাড়া করে থাকতে হবে।
ভর্তি ও থাকার ব্যবস্থা ঠিক হওয়ার পরপরই আপনাকে ঋজজঙ–এর জন্য আবেদন করতে হবে। ঋজজঙ হাতে পাওয়ার পর আপনি সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত।