প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতে বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ থেকে কয়েক ডজন মানুষকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। রাজধানী নয়াদিল্লির বিখ্যাত স্থাপনা ইন্ডিয়া গেটের সামনে ওই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তাদের অনেকে হাতে ব্যানার ধরে আছেন। এক ব্যানারে লেখা ছিল, নিশ্বাস নিয়েই আমরা মারা যাচ্ছি। অনেকে আবার পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ‘বিশুদ্ধ বাতাস আমাদের অধিকার’ স্লোগান দিতে থাকেন।
নেহা নামে এক বিক্ষোভকারী ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, আমাদের একটাই সমস্যা- বিশুদ্ধ বাতাস। অনেক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে, কিন্তু এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বায়ুমান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) দিল্লির স্কোর ছিল ৩৪৫, যা ‘খুবই খারাপ’ হিসেবে চিহ্নিত। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মান অনুযায়ী, স্কোর ০–৫০ ‘ভালো’ এবং ৪০১–৫০০ ‘গুরুতর’ হিসেবে গণ্য হয়।
রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলগুলো প্রতি বছর শীতকালে ঠান্ডা ও ভারী বাতাসের কারণে নির্মাণকাজের ধুলো, গাড়ির কালো ধোঁয়া ও পোড়ানো ফসলের ধোঁয়া মিলিত হয়ে ধুলাবালি মিশ্রিত ঘন কুয়াশা বা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে, যা হাজারো মানুষের শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়। তবে এমন প্রকাশ্য প্রতিবাদ সেখানে খুবই বিরল ঘটনা। বিক্ষোভকারীদের আটকের বিষয়ে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্ডিয়া গেট অনুমোদিত বিক্ষোভস্থল নয়, তাই সেখানকার লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। তবে বিরোধী নেতারা এই আচরণের সমালোচনা করেছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, বিশুদ্ধ বাতাস মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। আর আমাদের সংবিধান তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত করে। তাহলে নাগরিকরা যখন বিশুদ্ধ বাতাসের দাবিতে রাস্তায় নামছেন, তখন কেন তাদের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে?
এদিকে, আত্মপক্ষ সমর্থন করে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, সরকার দূষণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দূষণমুক্ত দিল্লির জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। গত মাসে দূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানোর একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মেঘ জমিয়ে বৃষ্টি নামানোর জন্য রাসায়নিক ছিটিয়েও কোনো বৃষ্টি হয়নি।
সানা/আপ্র/১০/১১/২০২৫
























