ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে নারী বিমানচালকের হার সবচেয়ে বেশি

  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বে নারী বিমানচালকের হার সবচেয়ে বেশি ভারতে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব উইমেন এয়ারলাইন পাইলটসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন নারী বিমানচালকদের হার সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে প্রতি আটজন বিমানচালকের একজন নারী। সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের নারী বিমানচালকের দ্বিগুণ। ভারতে স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্রে প্রতি চারজনে একজন নারী কর্মজীবী কাজ করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের বিমানচালকের পেশায় আসার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। উদাহরণ হিসেবে জয়া আগরওয়ালের কথা বলা যায়। আগরওয়াল যখন আকাশ জয়ের স্বপ্নে বিভোর, তখন রীতিমতো কান্নাকাটি করেছিলেন তাঁর মা। বলেছিলেন, বিমানচালক হওয়ার পরিবর্তে ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে ফেলো। জয়া ২০০৪ সালে বিমানচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি বর্ণাঢ্য কর্মজীবন উপভোগ করছেন। এর মধ্যে গত বছর তিনি দীর্ঘতম বিরতিহীন ভারতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করেন, যার মধ্যে ক্রু–সহ সবাই ছিলেন নারী। সান ফ্রান্সিসকো থেকে বেঙ্গালুরু রুটে ১৭ ঘণ্টার পথ চলার পর জয়াকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের সময় ভারতের জাতীয় টেলিভিশনে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র করা হয় তাঁকে। জয়ার এসব অর্জনকে একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হয়েছিল। জয়া যখন তাঁর লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, তখন তাঁর আশপাশে কোনো অনুসরণীয় ছিলেন না। বিমানচালক হিসেবে নারীদের ক্যারিয়ার শুরু করা যায়, এ বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণাও ছিল না। সম্প্রতি নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এএফপির সঙ্গে কথা হয় জয়া আগরওয়ালের। নয়াদিল্লির বাইরে তাঁর নিজ বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘বিমানচালক হওয়ার মতো পাগলামির কথা ভাবার অধিকারও আমার ছিল না। আমি এমন এক যুগে জন্মেছি, যেখানে ভারতের মেয়েরা বিয়ে করবে, সন্তান জন্ম দেবে এবং তাদের পরিবারের দেখাশোনা করবে। কিন্তু এসব কিছু করার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি সব সময় আমার ডানা মেলে আকাশে উড়তে চেয়েছি।’ জয়াকে তাঁর ‘কট্টর রক্ষণশীল’ মা-বাবাকে রাজি করাতে কয়েক বছর লেগেছিল যে তিনি ‘একটি উপযুক্ত ছেলে’র সঙ্গে একটি সাজানো সংসারের বাইরে আরেকটি জীবন চেয়েছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে নারী বিমানচালকের হার সবচেয়ে বেশি

আপডেট সময় : ০২:৫৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বে নারী বিমানচালকের হার সবচেয়ে বেশি ভারতে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব উইমেন এয়ারলাইন পাইলটসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন নারী বিমানচালকদের হার সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে প্রতি আটজন বিমানচালকের একজন নারী। সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের নারী বিমানচালকের দ্বিগুণ। ভারতে স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্রে প্রতি চারজনে একজন নারী কর্মজীবী কাজ করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের বিমানচালকের পেশায় আসার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। উদাহরণ হিসেবে জয়া আগরওয়ালের কথা বলা যায়। আগরওয়াল যখন আকাশ জয়ের স্বপ্নে বিভোর, তখন রীতিমতো কান্নাকাটি করেছিলেন তাঁর মা। বলেছিলেন, বিমানচালক হওয়ার পরিবর্তে ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে ফেলো। জয়া ২০০৪ সালে বিমানচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি বর্ণাঢ্য কর্মজীবন উপভোগ করছেন। এর মধ্যে গত বছর তিনি দীর্ঘতম বিরতিহীন ভারতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করেন, যার মধ্যে ক্রু–সহ সবাই ছিলেন নারী। সান ফ্রান্সিসকো থেকে বেঙ্গালুরু রুটে ১৭ ঘণ্টার পথ চলার পর জয়াকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের সময় ভারতের জাতীয় টেলিভিশনে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র করা হয় তাঁকে। জয়ার এসব অর্জনকে একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হয়েছিল। জয়া যখন তাঁর লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, তখন তাঁর আশপাশে কোনো অনুসরণীয় ছিলেন না। বিমানচালক হিসেবে নারীদের ক্যারিয়ার শুরু করা যায়, এ বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণাও ছিল না। সম্প্রতি নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এএফপির সঙ্গে কথা হয় জয়া আগরওয়ালের। নয়াদিল্লির বাইরে তাঁর নিজ বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘বিমানচালক হওয়ার মতো পাগলামির কথা ভাবার অধিকারও আমার ছিল না। আমি এমন এক যুগে জন্মেছি, যেখানে ভারতের মেয়েরা বিয়ে করবে, সন্তান জন্ম দেবে এবং তাদের পরিবারের দেখাশোনা করবে। কিন্তু এসব কিছু করার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি সব সময় আমার ডানা মেলে আকাশে উড়তে চেয়েছি।’ জয়াকে তাঁর ‘কট্টর রক্ষণশীল’ মা-বাবাকে রাজি করাতে কয়েক বছর লেগেছিল যে তিনি ‘একটি উপযুক্ত ছেলে’র সঙ্গে একটি সাজানো সংসারের বাইরে আরেকটি জীবন চেয়েছিলেন।