ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ভারতে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যেসব দেশের নেতারা

  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আগামী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ অব ২০ (জি-২০) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ভূ-রাজনীতির বিভিন্ন সংকট সমাধানের চেষ্টা করবেন এই জোটের নেতারা। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়েও আলোচনা হবে। ইতোমধ্যে চীন ও রাশিয়া নিশ্চিত করেছে তাদের প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না। তবে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে শীর্ষ সম্মেলনে কোন কোন নেতা উপস্থিত থাকবেন তা তুলে ধরেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচনে উন্নয়ন ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একটি ফোনালাপে সম্মেলন অংশগ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ না করায় তিনি হতাশ বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাকের ভারতে এটি প্রথম সরকারি সফর। তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উপস্থিত থাকবেন। জি-৭-এর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনায় তিনি নেতৃত্ব দিতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ নয়া দিল্লি সফর করবেন। তার ভারত সফরটি ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনসহ তিন দেশ সফরের অংশ। উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তিনি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র উসকানি ও পারমাণবিক হুমকির প্রতিক্রিয়া ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে তিনি আহ্বান জানাবেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির পরও ভারতে আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নয়া দিল্লিতে সম্মেলনে হাজির হবেন। মোদির সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। ভারত জি-২০-তে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ চেয়েছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ভারত সফর করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এছাড়া, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যেসব রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যেসব দেশের নেতারা

আপডেট সময় : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আগামী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ অব ২০ (জি-২০) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ভূ-রাজনীতির বিভিন্ন সংকট সমাধানের চেষ্টা করবেন এই জোটের নেতারা। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়েও আলোচনা হবে। ইতোমধ্যে চীন ও রাশিয়া নিশ্চিত করেছে তাদের প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না। তবে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে শীর্ষ সম্মেলনে কোন কোন নেতা উপস্থিত থাকবেন তা তুলে ধরেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচনে উন্নয়ন ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একটি ফোনালাপে সম্মেলন অংশগ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ না করায় তিনি হতাশ বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাকের ভারতে এটি প্রথম সরকারি সফর। তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উপস্থিত থাকবেন। জি-৭-এর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনায় তিনি নেতৃত্ব দিতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ নয়া দিল্লি সফর করবেন। তার ভারত সফরটি ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনসহ তিন দেশ সফরের অংশ। উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তিনি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র উসকানি ও পারমাণবিক হুমকির প্রতিক্রিয়া ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে তিনি আহ্বান জানাবেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির পরও ভারতে আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নয়া দিল্লিতে সম্মেলনে হাজির হবেন। মোদির সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। ভারত জি-২০-তে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ চেয়েছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ভারত সফর করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এছাড়া, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যেসব রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।