ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাল্টাপাল্টি দাবি

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো পাল্টাপাল্টি দাবি করছে। গতকাল সোমবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। ভারতে কয়লাসংকট নেই। তাই বিদ্যুৎ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে দেশটির একাধিক রাজ্য সরকার বলছে, ভারতে কয়লাসংকট থেকে তারা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। কয়লাসংকটের বিষয়টি সামনে এনে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কয়লা সরবরাহের সংকটের মধ্যে বিহার, রাজস্থান ও ঝাড়খ-ের বাসিন্দারা দিনে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং বলেন, ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কয়লার মজুত আছে। তাঁরা সারা দেশে কয়লা সরবরাহ করে যাচ্ছেন। যাদের কয়লা লাগবে, তাঁদের তা বললেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আরকে সিং আরও বলেন, বর্ষাকালে কয়লাখনিতে পানি ঢুকে যায়। এ কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে কয়লার সরবরাহ কমে যায়। কিন্তু কয়লার চাহিদা তো আর কমে না।
তবে কয়লাসংকটের বিষয় পুরোপুরি এড়িয়ে যাননি কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, কয়লাসংকট সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছর দেশে ভারী বৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি দায়ী।
প্রহ্লাদ যোশীর জানান, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিংয়ের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। কয়লার যথেষ্ট মজুত আছে বলে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী যে দাবি করেন, সেটাকে দায়িত্বহীন বলে অভিহিত করেন মনীশ সিসোদিয়া।
মনীশ সিসোদিয়া বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করলে রাজধানীতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন–সংকটের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেছিল। কয়লাসংকটের ক্ষেত্রেও ঠিক একই বিষয় দেখা যাচ্ছে। মনীশ সিসোদিয়া আরও বলেন, ‘আমরা আদতেই আজ সংকটের মধ্যে রয়েছি’।
কয়লাসংকটের বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, কয়লার সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজধানী শহরটি ‘বিদ্যুৎহীন’ (ব্ল্যাকআউট) হয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতিকে বেশ উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জরুরি ব্যক্তিগত মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
গত রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত কয়লার মজুত রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাল্টাপাল্টি দাবি

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো পাল্টাপাল্টি দাবি করছে। গতকাল সোমবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। ভারতে কয়লাসংকট নেই। তাই বিদ্যুৎ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে দেশটির একাধিক রাজ্য সরকার বলছে, ভারতে কয়লাসংকট থেকে তারা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। কয়লাসংকটের বিষয়টি সামনে এনে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কয়লা সরবরাহের সংকটের মধ্যে বিহার, রাজস্থান ও ঝাড়খ-ের বাসিন্দারা দিনে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং বলেন, ভারতে কয়লাসংকট নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কয়লার মজুত আছে। তাঁরা সারা দেশে কয়লা সরবরাহ করে যাচ্ছেন। যাদের কয়লা লাগবে, তাঁদের তা বললেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আরকে সিং আরও বলেন, বর্ষাকালে কয়লাখনিতে পানি ঢুকে যায়। এ কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে কয়লার সরবরাহ কমে যায়। কিন্তু কয়লার চাহিদা তো আর কমে না।
তবে কয়লাসংকটের বিষয় পুরোপুরি এড়িয়ে যাননি কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, কয়লাসংকট সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছর দেশে ভারী বৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি দায়ী।
প্রহ্লাদ যোশীর জানান, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিংয়ের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। কয়লার যথেষ্ট মজুত আছে বলে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী যে দাবি করেন, সেটাকে দায়িত্বহীন বলে অভিহিত করেন মনীশ সিসোদিয়া।
মনীশ সিসোদিয়া বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করলে রাজধানীতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন–সংকটের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেছিল। কয়লাসংকটের ক্ষেত্রেও ঠিক একই বিষয় দেখা যাচ্ছে। মনীশ সিসোদিয়া আরও বলেন, ‘আমরা আদতেই আজ সংকটের মধ্যে রয়েছি’।
কয়লাসংকটের বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, কয়লার সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজধানী শহরটি ‘বিদ্যুৎহীন’ (ব্ল্যাকআউট) হয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতিকে বেশ উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জরুরি ব্যক্তিগত মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
গত রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত কয়লার মজুত রয়েছে।