ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ভারতে এবার জিকা ভাইরাস সংক্রমণ মহারাষ্ট্রেও

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কেরালার পর এবার মহারাষ্ট্রেও মিলেছে জিকা ভাইরাস। মহারাষ্ট্রে কোভিড পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। তার মধ্যেই পুণের ৫০ বছর বয়সী এক নারীর দেহে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্রে জিকা সংক্রমণ এটিই প্রথম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যকে সহায়তা করার জন্য ভারতের কেন্দ্র সরকার থেকে মহারাষ্ট্রে এরই মধ্যে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি দলও পাঠানো হয়েছে।
এই বিশেষজ্ঞরা রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি নজরে রাখার পাশাপাশি জিকার থাবা এড়াতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টিও দেখভাল করবেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর রোববার পুনের পুরন্দরে বেলসর গ্রামের বাসিন্দা ওই নারীর জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায়। পরীক্ষার ফলে জানা যায়, শুধু জিকা নয়, তিনি চিকুনগুনিয়াতেও আক্রান্ত। তবে ওই নারী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের কারও দেহেও জিকা ভাইরাসের উপসর্গ নেই। স্বাস্থ্য দফতর জানায়, জুলাইয়ে পুণের বেলসার গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ভারতের কেরালায় জিকা ভাইরাস সংক্রমণ, সতর্কতা জারি
পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয়। তাতেই ২৫ জনের দেহে চিকনগুনিয়া, তিনজনের দেহে ডেঙ্গু এবং একজনের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই একটি মেডিকেল টিম গ্রামে যায় এবং কীভাবে এই ভাইরাসের থাবা এড়ানো যাবে সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলে।
এর আগে গতমাসের শুরুর দিকেই জিকা ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল কেরালা রাজ্যের ১৪ জনের দেহে। আর এ পর্যন্ত কেরালায় জিকা সংক্রমিত হয়েছে ৬৩ জন।
জিকা ভাইরাস ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। খুব দ্রুতই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির লক্ষণও কোভিড-১৯ এর মতোই। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের প্রথমে জ্বর আসে। সেই জ্বর বাড়তে থাকে। গায়ে ব়্যাশ বের হয়। চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যাথা ও মাথা ব্যাথাও হতে পারে।
তাই কোভিড মহামারীর মধ্যে জিকা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। যদিও এ ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই- এমনটিই বলছেন অভিজ্ঞ মহলের একাংশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

ভারতে এবার জিকা ভাইরাস সংক্রমণ মহারাষ্ট্রেও

আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কেরালার পর এবার মহারাষ্ট্রেও মিলেছে জিকা ভাইরাস। মহারাষ্ট্রে কোভিড পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। তার মধ্যেই পুণের ৫০ বছর বয়সী এক নারীর দেহে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্রে জিকা সংক্রমণ এটিই প্রথম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যকে সহায়তা করার জন্য ভারতের কেন্দ্র সরকার থেকে মহারাষ্ট্রে এরই মধ্যে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি দলও পাঠানো হয়েছে।
এই বিশেষজ্ঞরা রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি নজরে রাখার পাশাপাশি জিকার থাবা এড়াতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টিও দেখভাল করবেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর রোববার পুনের পুরন্দরে বেলসর গ্রামের বাসিন্দা ওই নারীর জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায়। পরীক্ষার ফলে জানা যায়, শুধু জিকা নয়, তিনি চিকুনগুনিয়াতেও আক্রান্ত। তবে ওই নারী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের কারও দেহেও জিকা ভাইরাসের উপসর্গ নেই। স্বাস্থ্য দফতর জানায়, জুলাইয়ে পুণের বেলসার গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ভারতের কেরালায় জিকা ভাইরাস সংক্রমণ, সতর্কতা জারি
পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয়। তাতেই ২৫ জনের দেহে চিকনগুনিয়া, তিনজনের দেহে ডেঙ্গু এবং একজনের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই একটি মেডিকেল টিম গ্রামে যায় এবং কীভাবে এই ভাইরাসের থাবা এড়ানো যাবে সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলে।
এর আগে গতমাসের শুরুর দিকেই জিকা ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল কেরালা রাজ্যের ১৪ জনের দেহে। আর এ পর্যন্ত কেরালায় জিকা সংক্রমিত হয়েছে ৬৩ জন।
জিকা ভাইরাস ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। খুব দ্রুতই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির লক্ষণও কোভিড-১৯ এর মতোই। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের প্রথমে জ্বর আসে। সেই জ্বর বাড়তে থাকে। গায়ে ব়্যাশ বের হয়। চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যাথা ও মাথা ব্যাথাও হতে পারে।
তাই কোভিড মহামারীর মধ্যে জিকা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। যদিও এ ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই- এমনটিই বলছেন অভিজ্ঞ মহলের একাংশ।