ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে বড় যুদ্ধের শঙ্কা নেই, তবে প্রস্তুত থাকতে হবে

  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ -ছবি এক্স হ্যান্ডেল থেকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা নেই, তবে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।

ইউসুফ বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো কার্যকর দ্বিপাক্ষিক সংকট ব্যবস্থাপনা কাঠামো নেই। উভয় দেশই তৃতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল অনুসরণ করে থাকে। এখন যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, তা পূর্ববর্তী সংকটগুলোর তুলনায় আরো কঠোর। উদাহরণ হিসেবে ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ নয়।

আসন্ন যুদ্ধে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ইউসুফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বড় যুদ্ধের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তবে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে পারে, আর একটি ছোট ভুলও বড় সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে। আমরা নিশ্চিত নই কী হতে যাচ্ছে। কিন্তু সব আশঙ্কার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

হামলার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারত সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে, যার জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে। পাশাপাশি, উভয় দেশ একে অপরের নাগরিকদের বহিষ্কার এবং কূটনৈতিক মিশন সীমিত করার মতো পদক্ষেপও নিয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টাও চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উভয় দেশকে ফোন করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করেছে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য। সূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে বড় যুদ্ধের শঙ্কা নেই, তবে প্রস্তুত থাকতে হবে

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা নেই, তবে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।

ইউসুফ বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো কার্যকর দ্বিপাক্ষিক সংকট ব্যবস্থাপনা কাঠামো নেই। উভয় দেশই তৃতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল অনুসরণ করে থাকে। এখন যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, তা পূর্ববর্তী সংকটগুলোর তুলনায় আরো কঠোর। উদাহরণ হিসেবে ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ নয়।

আসন্ন যুদ্ধে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ইউসুফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বড় যুদ্ধের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তবে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে পারে, আর একটি ছোট ভুলও বড় সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে। আমরা নিশ্চিত নই কী হতে যাচ্ছে। কিন্তু সব আশঙ্কার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

হামলার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারত সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে, যার জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে। পাশাপাশি, উভয় দেশ একে অপরের নাগরিকদের বহিষ্কার এবং কূটনৈতিক মিশন সীমিত করার মতো পদক্ষেপও নিয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টাও চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উভয় দেশকে ফোন করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করেছে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য। সূত্র: আল জাজিরা