ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের রহস্যময় খাবার রাম কন্দ মূল

  • আপডেট সময় : ১০:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার পাশে বিক্রি হয় ড্রাম আকৃতির এক ধরনের কন্দ। রাম কন্দ মূল নামে পরিচিত এই কন্দ থেকে পাতলা কাগজের মতো টুকরো কেটে কেটে বিক্রি হয়। সুস্বাদু এই খাবারটির উৎস নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিভ্রান্তিতে থেকেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরাও।
রাম কন্দ মূলের বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই বলে থাকেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষণকে নিয়ে বনবাসে থাকার সময় ভগবান রামের একমাত্র খাদ্য ছিলো এটি। ব্যবসায়ীদের দাবি এটি খেলে গরমে প্রশান্তি মেলে। ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দুটোই দূর হয় আর সব ধরনের ওষুধি গুণ রয়েছে এর। পাতলা করে কেটে লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে বিক্রি করা হয় এটি।
তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি কোথা থেকে আসে সেই রহস্যের সমাধান করতে পারেননি উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ওই সময়ে বিজ্ঞানীদের একটি দল কন্দটির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখতে পান এর সঙ্গে অ্যাগেভ নামে এক প্রকার কন্দের ৮৯ শতাংশ মিল রয়েছে। তখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারা প্রমাণে এটিকে অ্যাগেভ বলেই ধারণা করা হতো। অ্যাগেভ বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে গেলে এটি বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে সেকারণেই ব্যবসায়ীরা এটিকে ছোট ছোট টুকরায় বিক্রি করেন।
২০১১ সালে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় রাম কন্দ মূল মূলত অ্যাগেভ সিসালানা। যেটি মূলত অ্যাগেভেরই একটি প্রজাতি। এর পাতা কেটে ফেলে দিলে ড্রাম আকৃতির কন্দ বেরিয়ে আসে। আর সেটিই বিক্রি করেন রাস্তার ব্যবসায়ীরা। রাম কন্দ মূলের উৎস গোপন রাখা ব্যবসায়ীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। মহারাষ্ট্রের বন বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের উপর নজরদারি চালিয়ে এটি তাদের হাতে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

ভারতের রহস্যময় খাবার রাম কন্দ মূল

আপডেট সময় : ১০:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার পাশে বিক্রি হয় ড্রাম আকৃতির এক ধরনের কন্দ। রাম কন্দ মূল নামে পরিচিত এই কন্দ থেকে পাতলা কাগজের মতো টুকরো কেটে কেটে বিক্রি হয়। সুস্বাদু এই খাবারটির উৎস নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিভ্রান্তিতে থেকেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরাও।
রাম কন্দ মূলের বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই বলে থাকেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষণকে নিয়ে বনবাসে থাকার সময় ভগবান রামের একমাত্র খাদ্য ছিলো এটি। ব্যবসায়ীদের দাবি এটি খেলে গরমে প্রশান্তি মেলে। ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দুটোই দূর হয় আর সব ধরনের ওষুধি গুণ রয়েছে এর। পাতলা করে কেটে লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে বিক্রি করা হয় এটি।
তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি কোথা থেকে আসে সেই রহস্যের সমাধান করতে পারেননি উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ওই সময়ে বিজ্ঞানীদের একটি দল কন্দটির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখতে পান এর সঙ্গে অ্যাগেভ নামে এক প্রকার কন্দের ৮৯ শতাংশ মিল রয়েছে। তখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারা প্রমাণে এটিকে অ্যাগেভ বলেই ধারণা করা হতো। অ্যাগেভ বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে গেলে এটি বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে সেকারণেই ব্যবসায়ীরা এটিকে ছোট ছোট টুকরায় বিক্রি করেন।
২০১১ সালে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় রাম কন্দ মূল মূলত অ্যাগেভ সিসালানা। যেটি মূলত অ্যাগেভেরই একটি প্রজাতি। এর পাতা কেটে ফেলে দিলে ড্রাম আকৃতির কন্দ বেরিয়ে আসে। আর সেটিই বিক্রি করেন রাস্তার ব্যবসায়ীরা। রাম কন্দ মূলের উৎস গোপন রাখা ব্যবসায়ীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। মহারাষ্ট্রের বন বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের উপর নজরদারি চালিয়ে এটি তাদের হাতে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।