ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিপক্ষে খাওয়াজার প্রথম সেঞ্চুরি

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দিনের শেষ ওভারের প্রথম বল, ৯৯ রানে খেলছেন উসমান খাওয়াজা। পায়ের ওপর করা মোহাম্মদ শামির ডেলিভারি ফ্লিক করে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েই বাঁধনহারা উল্লাসে ফেটে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় উপহার দিলেন ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরু হয় বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। ৪ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। তিন দিনেরও কম সময়ে শেষ হওয়া সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে একমাত্র সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিসেবে তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন খাওয়াজা। ভারতের বিপক্ষে এর আগে ৭ টেস্টে ৩ ফিফটি ছিল খাওয়াজার নামের পাশে। অষ্টম ম্যাচে এসে দলটির বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৫ চারে ২৫১ বলে ১০৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারে সপ্তম টেস্ট ফিফটির সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরন গ্রিন। ৮ চারে ৪৯ রানে খেলছেন তিনি। খাওয়াজার সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন জুটি ৮৫ রানের।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সামান্য ঘাসের ছোঁয়ার শুষ্ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা খারাপ হয়নি। ট্রাভিস হেড ও খাওয়াজা পার করে দেন প্রথম ঘণ্টার কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও মাঝে একবার জীবন পান হেড। উমেশ যাদবের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক শ্রিকর ভারত, তখন ১ রানে ছিলেন ওই ব্যাটসম্যান। এরপরও অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি দ্রুত রান বাড়ানো হেড। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ৭ চারে ৩২ রান করে তিনি ধরা পড়েন মিড-অনে। ভাঙে ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি। দলে ফেরা মোহাম্মদ শামির বল স্টাম্পে টেনে আনেন শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা মার্নাস লাবুশেন। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে ইন্দোর টেস্টের পর এই ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে প্রথম সেশন পার করে দেন খাওয়াজা। দ্বিতীয় সেশনে প্রতিপক্ষের কোনো উইকেট নিতে পারেনি ভারত। তবে খুব একটা রানও তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৪৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করা খাওয়াজা ও স্মিথ বেছে নেন অতি সাবধানী ব্যাটিংয়ের পথ। তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই স্মিথকে বিদায় করে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্মিথের ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে। ৩৮ রান করতে ১৩৫ বল খেলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। পিটার হ্যান্ডসকমকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উপড়ে ফেলেন তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের স্টাম্প। এরপর গ্রিনকে নিয়ে বাকিটা সময় নিরাপদে কাটিয়ে দেন খাওয়াজা। ২৪৬ বলে চতুর্দশ টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন খাওয়াজা। তার ক্যারিয়ারে যা মন্থরতম সেঞ্চুরি; আগেরটি ছিল ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২২২ বলে। দ্বিতীয় দিনে খাওয়াজা ও গ্রিনের জুটিতে কতদূর যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া, সেটাই এখন দেখার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের বিপক্ষে খাওয়াজার প্রথম সেঞ্চুরি

আপডেট সময় : ০১:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : দিনের শেষ ওভারের প্রথম বল, ৯৯ রানে খেলছেন উসমান খাওয়াজা। পায়ের ওপর করা মোহাম্মদ শামির ডেলিভারি ফ্লিক করে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েই বাঁধনহারা উল্লাসে ফেটে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় উপহার দিলেন ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরু হয় বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। ৪ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। তিন দিনেরও কম সময়ে শেষ হওয়া সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে একমাত্র সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিসেবে তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন খাওয়াজা। ভারতের বিপক্ষে এর আগে ৭ টেস্টে ৩ ফিফটি ছিল খাওয়াজার নামের পাশে। অষ্টম ম্যাচে এসে দলটির বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৫ চারে ২৫১ বলে ১০৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারে সপ্তম টেস্ট ফিফটির সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরন গ্রিন। ৮ চারে ৪৯ রানে খেলছেন তিনি। খাওয়াজার সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন জুটি ৮৫ রানের।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সামান্য ঘাসের ছোঁয়ার শুষ্ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা খারাপ হয়নি। ট্রাভিস হেড ও খাওয়াজা পার করে দেন প্রথম ঘণ্টার কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও মাঝে একবার জীবন পান হেড। উমেশ যাদবের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক শ্রিকর ভারত, তখন ১ রানে ছিলেন ওই ব্যাটসম্যান। এরপরও অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি দ্রুত রান বাড়ানো হেড। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ৭ চারে ৩২ রান করে তিনি ধরা পড়েন মিড-অনে। ভাঙে ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি। দলে ফেরা মোহাম্মদ শামির বল স্টাম্পে টেনে আনেন শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা মার্নাস লাবুশেন। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে ইন্দোর টেস্টের পর এই ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে প্রথম সেশন পার করে দেন খাওয়াজা। দ্বিতীয় সেশনে প্রতিপক্ষের কোনো উইকেট নিতে পারেনি ভারত। তবে খুব একটা রানও তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৪৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করা খাওয়াজা ও স্মিথ বেছে নেন অতি সাবধানী ব্যাটিংয়ের পথ। তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই স্মিথকে বিদায় করে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্মিথের ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে। ৩৮ রান করতে ১৩৫ বল খেলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। পিটার হ্যান্ডসকমকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উপড়ে ফেলেন তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের স্টাম্প। এরপর গ্রিনকে নিয়ে বাকিটা সময় নিরাপদে কাটিয়ে দেন খাওয়াজা। ২৪৬ বলে চতুর্দশ টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন খাওয়াজা। তার ক্যারিয়ারে যা মন্থরতম সেঞ্চুরি; আগেরটি ছিল ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২২২ বলে। দ্বিতীয় দিনে খাওয়াজা ও গ্রিনের জুটিতে কতদূর যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া, সেটাই এখন দেখার।