ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের জন্য জ্বালানি তেল ক্রয়ে বিশেষ ছাড় রাশিয়ার

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের জন্য জ্বালানি তেল ক্রয়ে বিশেষ ছাড় প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ও অক্টোবরে ব্যারেলপ্রতি তিন থেকে চার ডলার কমে রুশ উরালস গ্রেড তেল (জ্বালানির বিশেষ মিশ্রণ) কিনতে পারবে নয়াদিল্লি। ফলে, রুশ জ্বালানি ক্রয় নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন মোড় নিতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

আগস্টের শুরুর দিকে মার্কিন চাপের কারণে রুশ জ্বালানি ক্রয়ে সাময়িক বিরতি দিলেও ভারতীয় রিফাইনারিগুলো আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার উরালস ক্রুড তেল প্রতি ব্যারেলে আড়াই ডলার ছাড় প্রস্তাব করা হয়, যা জুলাইয়ে ছিল এক ডলার।

অন্যদিকে, মার্কিন ক্রুড তেলের দাম রিফাইনারিদের কাছে প্রায় তিন ডলার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

রাশিয়ার তেল কিনে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগে ভারতীয় পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্বে আরোপিত অন্য শুল্কের সঙ্গে গত সপ্তাহে যখন এটি জারি হয়, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছায়। অবশ্য, এরপরও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লি। বরং ওয়াশিংটনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে দিল্লির সঙ্গে মস্কো এবং বেইজিংয়ের আঁতাত আরো গাঢ় হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।

সম্প্রতি চীনে আয়োজিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন বা এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, দিল্লি-মস্কোর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে, ভারতের তীব্র সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছিলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল ক্রয়ের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে কম ছিল। আর এখন, রুশ পরিশোধকরা ছাড় দেয়, ভারত তা পরিশোধন করে এবং তারপর ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কাছে বেশি দামে বিক্রি করে। এভাবে রুশ যুদ্ধে রসদ জোগাচ্ছে ভারত।

জবাবে ভারত জানিয়েছে, রুশ তেল কেনার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

এসি/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের জন্য জ্বালানি তেল ক্রয়ে বিশেষ ছাড় রাশিয়ার

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের জন্য জ্বালানি তেল ক্রয়ে বিশেষ ছাড় প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ও অক্টোবরে ব্যারেলপ্রতি তিন থেকে চার ডলার কমে রুশ উরালস গ্রেড তেল (জ্বালানির বিশেষ মিশ্রণ) কিনতে পারবে নয়াদিল্লি। ফলে, রুশ জ্বালানি ক্রয় নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন মোড় নিতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

আগস্টের শুরুর দিকে মার্কিন চাপের কারণে রুশ জ্বালানি ক্রয়ে সাময়িক বিরতি দিলেও ভারতীয় রিফাইনারিগুলো আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার উরালস ক্রুড তেল প্রতি ব্যারেলে আড়াই ডলার ছাড় প্রস্তাব করা হয়, যা জুলাইয়ে ছিল এক ডলার।

অন্যদিকে, মার্কিন ক্রুড তেলের দাম রিফাইনারিদের কাছে প্রায় তিন ডলার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

রাশিয়ার তেল কিনে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগে ভারতীয় পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্বে আরোপিত অন্য শুল্কের সঙ্গে গত সপ্তাহে যখন এটি জারি হয়, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছায়। অবশ্য, এরপরও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লি। বরং ওয়াশিংটনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে দিল্লির সঙ্গে মস্কো এবং বেইজিংয়ের আঁতাত আরো গাঢ় হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।

সম্প্রতি চীনে আয়োজিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন বা এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, দিল্লি-মস্কোর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে, ভারতের তীব্র সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছিলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল ক্রয়ের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে কম ছিল। আর এখন, রুশ পরিশোধকরা ছাড় দেয়, ভারত তা পরিশোধন করে এবং তারপর ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কাছে বেশি দামে বিক্রি করে। এভাবে রুশ যুদ্ধে রসদ জোগাচ্ছে ভারত।

জবাবে ভারত জানিয়েছে, রুশ তেল কেনার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

এসি/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫