ক্রীড়া ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের কনকাশন বদলি নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। পরিস্থিতি বরং আরও জটিল হচ্ছে। ইংল্যান্ড দল বিষয়টা নিয়ে এখন আর বাড়াবাড়ি না করলেও সুনীল গাভাস্কারসহ ইংল্যান্ডের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বিষয়টা নিয়ে এখনো চর্চা করছেন। সাবেক ইংল্যান্ড ওপেনার ও আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বিষয়টাকে পক্ষপাত ও দুর্নীতি হিসেবে তকমা দিয়েছেন।
ঘটনাটা ছিল পুনেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে। ওই ম্যাচে ভারত জিতলেও সঙ্গী ছিল বিতর্ক। ভারতের ইংনিংসের শেষ বলে রান আউট হন শিবম দুবে। তার আগে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে টেনে তুলতে ভূমিকা রাখেনি তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেন। রান আউট হওয়া শিবমের ব্যাট করার সময় একটি বল লাগে হেলমেটে। ৩৪ বলে ৫৩ রানে ফিরলেও ফিল্ডিংয়ের সময় আর মাঠে নামেননি তিনি। তার কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো হয় বোলার হর্ষিত রানাকে। এই বদলি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় কনকাশন বদলের নিয়ম অনুযায়ী এটা মোটেও লাইক ফর লাইক বদলি ছিল না। আর এই হর্ষিতই বল হাতে পরে ম্যাচটা ভারতের পক্ষে নিতে ভূমিকা রাখেন।
কনকাশন বদলিটা যে যথাযথ মনে হয়নি সেটা নিয়ে ম্যাচের সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা কেভিন পিটারসেন ও নিক নাইট। প্রশ্ন তোলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বাটলারও। একই বিষয়ে প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বিষয়টা নিয়ে এভাবেই লিখেছেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্যই স্বাধীন ম্যাচ অফিশিয়ালদের আনা হয়েছিল। কিন্তু আইসিসি কেন আবারও পক্ষপাত ও দুর্নীতির
সেই পুরোনো দিনগুলিতে ফিরে যাচ্ছে?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অবশ্য তিনি এক প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন, আইসিসির নিরপেক্ষ রেফারিকেই বেছে নেওয়া উচিত। সেখানে আরও লিখেছেন, ‘ভারতকে এমন বদলির অনুমোদন দিয়ে কীভাবে একজন ভারতীয় ম্যাচ রেফারি পার পেতে পারেন? এই ধরনের পক্ষপাত এড়াতে অবশ্যই নিরপেক্ষ ম্যাচ অফিশিয়াল আনা উচিত। ’
সুনীল গাভাস্কার অবশ্য টেলিগ্রাফের একটি কলামে এই কনকাশন বদলি নিয়ে ভারতের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন এই বদলির বিষয়টা মোটেও সঠিক ছিল না।